আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুমের লাশ ভারত থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে তার লাশ।
[caption id="" align="aligncenter" width="399"] এ বইটিসহ দারুল উলূম লাইব্রেরীর প্রকাশিত অন্যান্য বই কিনতে ছবিতে ক্লিক করুন।[/caption]
ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন- বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার সংবাদমাধ্যমকে জানান, দোহা থেকে বিমানের একটি ফ্লাইট দেশে ফেরার পথে ভারতের নাগপুরে নেমে ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ নিয়ে আসবে। আশা করছি, বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ দেশে আনা হবে।
জানা গেছে, ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ নিয়ে ফ্রিজিং ভ্যান বিমানবন্দরের আট নম্বর গেট দিয়ে বের হবে। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হতে পারে।
বিমান সূত্রে জানা যায়, ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ নিয়ে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ফ্লাইটটি দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ক্যাপ্টেন নওশাদের দুই বোনও এ সময় যাত্রী হিসেবে ফ্লাইটে থাকবেন।
গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। পরে ফ্লাইটটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে কাছের নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান। ওইদিনই আরেকটি ফ্লাইটে করে ৮ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর প্লেনটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
জরুরি অবতরণের পরপরই এই পাইলটকে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত রোববার হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[caption id="" align="aligncenter" width="370"] এ বইটিসহ দারুল উলূম লাইব্রেরীর প্রকাশিত অন্যান্য বই কিনতে ছবিতে ক্লিক করুন।[/caption]
উল্লেখ্য, ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে এফ-২৮ উড়োজাহাজে ফাস্ট অফিসার পদে যোগ দেন। সেখান থেকে এয়ারবাস ৩১০-এ ফাস্ট অফিসার হিসেবে প্রমোশন পান। এরপর ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ফাস্ট অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পান। পরে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজেরর ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।
-এএ