মোস্তফা ওয়াদুদ: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন আমীর আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকের শুরুতে সদ্য প্রয়াত আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ.-এর মাগফিরাত ও দারাজাত বুলন্দি কামনা করা হয়।
এছাড়াও বৈঠকে ৮টি বিষয় নিয়ে আলােচনা হয়। সেগুলো হলো-
এক : সাবেক আমীর আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী রহ.-এর মৃত্যুতে গভীর শােক ও সমবেদনা
দুই : আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীকে নতুন আমীর হিসেবে নির্ধারণের বিষয়টি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমােদন।
তিন : আল্লামা বাবুনগরী রহ. স্মরণে স্মরণ সভা ও দুয়া মাহফিল করার বিষয়ে স্থান ও তারিখ নির্ধারণের বিষয় আলােচনা।
চার : কাদিয়ানীদের অপতৎপরতা বন্ধে সম্মেলিত প্রতিরােধ গড়ে তােলার বিষয়ে আলােচনা।
পাচ : কওমী মাদরাসা খােলার বিষয়ে আলােচনা।
ছয় : বন্দী উলামায়ে কেরামের মুক্তির বিষয় আলােচনা।
সাত : ঢাকায় মুহতামিম সম্মেলনের আলােচনা।
আট : হেফাজতের গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ ও প্রকাশ।
আজ রোববার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় ও খাস কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব আলোচনার কথা জানানো হয়।
বৈঠকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ‘হেফাজত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ঈমানী আন্দোলনের সংগঠন। এই সংগঠনের কোনও রাজনৈতিক উচ্চাবিলাস বা কর্মসুচি নেই। আমরা সেভাবেই হেফাজতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবাে ইন শা আল্লাহ।’
এছাড়া হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ. এর পরে সারাদেশে সবচেয়ে গ্রহণযােগ্য নেতৃত্বে ছিলেন আল্লামা বাবুনগরী। জীবদ্দশায় তিনি কখনাে আপােষ করেননি। শাইখুল ইসলামের মৃত্যুর পর সারাদেশের আলেম-উলামা ও হেফাজত নেতৃবৃন্দের সমর্থনে আল্লামা বাবুনগরীকে আমীরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সেখানেও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু মহান আল্লাহর হুকুমে তাকে পরপারের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যেতে হয়েছে। শাইখুল ইসলামের ইন্তেকালের এক বছরের মধ্যেই আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকাল আমাদের অসহায় করে তুলেছে। এমন প্রধান দুইজন নেতৃত্বের চলে হেফাজতসহ সারাদেশের ইসলামী অঙ্গনের জন্য বড় ধরণের ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছে।
এমডব্লিউ/