শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আন্দোলন ঠেকাতেই বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: মির্জা ফখরুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে নয়, আন্দোলনের ভয়ে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।’

শনিবার (২৮ আগস্ট) সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীলতা তৈরির ষড়যন্ত্রের প্রস্তুতি নিচ্ছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তাহলে সেজন্য তারা এতোদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। অর্থাৎ করোনার কারণে নয়, শিশুদের নিরাপত্তার কারণে নয়, আন্দোলনকে ঠেকানোর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রেখেছে, এটাই প্রমাণিত হয়েছে তার কথায়।’

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেননি এবং চন্দ্রিমা উদ্যানে তার মরদেহ নেই বলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা রুচিহীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়ার কারণে এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে।’

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ রয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করা হয়েছিল। এটা তো চাঁদের আলোর মতো পরিষ্কার। এর চেয়ে বড় সত্য আর কিছু হতে পারে না। কারণ তৎকালীন সেনা অধিনায়ক জেনারেল এরশাদ নিজেই জিয়াউর রহমানের লাশ বহন করেছেন।’

জিয়াউর রহমানের মাজার নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা যেসব কথা বলেছে তাতে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে আঘাত লেগেছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এটা সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। শুধু-শুধু জিয়াউর রহমানকে টানা, এটা করতে গেলে এক সময় শেখ মুজিবুর রহমানকে টানা হয়। এগুলো আমরা করতে চাই না। এরা সবাই আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা, তাদেরকে সেই জায়গাতেই রাখা উচিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ শুধু কিছু ইস্যু তৈরি করে। আপনাদের (সাংবাদিক) দিয়ে সেই ইস্যুগুলো আমাদের প্রশ্ন করে, তা আবার সামনে নিয়ে আসে, এগুলো করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা মাত্র। ওই জায়গাটায় তারা আসে না কেন? আগামী নির্বাচনটা কীভাবে করবেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কীভাবে শক্তিশালী করবেন, কীভাবে মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবেন, সেই কথাগুলোর তারা কোনো উত্তর দেয় না।

এ সময় বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, দলের চেয়ারপারসন ও নেতাকর্মীদের রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য সম্প্রতি পুরোনো মামলাগুলো আবার সচল করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে দিতে কূটনৈতিক তৎপরতায় বর্তমান সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেও দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ