আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গত শনিবার ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল হাইতিতে। এতে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ভূমিকম্পের পরপরই হাইতিতে ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিতেও প্রাণহানি হয়েছে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের এক বিপর্যয়ে পড়েছে ক্যারিবীয় দেশটি।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি স্বীকার করেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর মহাসংকটে রয়েছে তার দেশ। হেনরি বলেন, ‘হাইতির হাঁটু ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্প দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল একটি অংশ ধ্বংস করে দিয়েছে। এটি আরো একবার প্রমাণ করেছে আমাদের সীমা কতটুকু, আমরা কতটা অরক্ষিত।’
হাইতির কর্তৃপক্ষ বুধবার জানিয়েছে, গত ১৪ আগস্টের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১৮৯ জনে পৌঁছেছে। এ দুর্যোগের পর ক্রমেই তাঁবুর শহরে পরিণত হয়েছে লেস কায়েস। তবে সেখানে অতিআবশ্যক ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। রুজভেল্ট মিলফোর্ড নামে স্থানীয় এক ধর্মযাজক জানিয়েছেন, তাদের কাছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও বৃষ্টি থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব দেখা দিয়েছে। ভূমিকম্পে পানির ট্যাংকগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যেই সেখানে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় গ্রেস। এতে অনেক তাঁবু উড়ে গেছে ও আশ্রয়স্থল প্লাবিত হয়েছে।
পোর্ট-অব-প্রিন্সের দক্ষিণে ম্যারিগোট এলাকার এক নেতা বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষতি না কাটতেই ঘূর্ণিঝড় গ্রেসের পর আরো কয়েক শত ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে অন্তত চার জন নিহত হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছে কয়েক জন। কিন্তু কোনো সাহায্য আসেনি। এমনকি এনজিও থেকেও কেউ আসেনি। এমন দুরবস্থার মধ্যে বিরল সুখবর হিসেবে হাইতির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, গত দুই দিনে সেখানে ৩৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে বাকিদের আশা ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে।
এনটি