আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী দিনগুলোতে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হতে যাচ্ছে চীন। কারণ অন্যান্য পরাশক্তি আফগানে হস্তক্ষেপ করার ফলে বহু বছর ধরে শুধু যুদ্ধই চলেছে, বহু মানুষ নিহত হয়েছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে তালেবানকে পাশে পেতে চায় চীন।
চীন চাচ্ছে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা আসুক। কারণ তারা দেশটির খনিজ সম্পদে বিনিয়োগ করতে চায়। এজন্য নিকট ভবিষ্যতে আফগানে যাতে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও অবকাঠামো শক্তিশালী হয় সেই পরিবেশ চীনের দরকার।
আফগানের সাম্প্রতিক অবস্থা ও তালেবানের দেশ দখল চীনকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। কাবুলের সঙ্গে তারা কোন পন্থা নিয়ে আগাবে সেটিও তাদের চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
নতুন প্রতিবেশী হিসেবে তালেবান সরকার কেমন আচরণ করবে তার পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায়নি। যদিও তালেবান ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়ে আসছে এখন পর্যন্ত।
চীনের সিচুয়ান ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়া স্টাডিজের অধ্যাপক ঝাং লি আল-জাজিরাকে বলেন, তালেবান কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় সে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সরকার গঠনের বিষয়টি খুবই জরুরি পদক্ষেপ হবে তাদের জন্য। দ্রুত প্রধান অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলোতেও তাদের আলোচনায় বসা দরকার।
খবরে বলা হচ্ছে, গত জুলাইয়ের শেষের দিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং তালেবান প্রতিনিধি দলের যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানেই মূলত দুপক্ষের সম্পর্ক কেমন হবে তার একটা ভিত্তি তৈরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে নিরাপত্তাসহ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার দিকে চীন সবুজ সিগন্যাল দিয়েছে। সূত্র: আল-জাজিরা।
-এটি