আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লড়াইটা আর চালিয়ে যেতে পারছে না আফগানিস্তান সরকার। বৃহস্পতিবার, কাতারে তালিবানদের ক্ষমতা ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দিল আশরাফ ঘানি সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, কাতারে আফগান সরকারের আলোচকরা, তালিবানদের ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। শর্ত একটাই দেশে চলমান হিংসার অবসান ঘটাতে হবে। দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে কাতারের কাছে এই প্রস্তাব জমা দিয়েছে আফগান সরকার।
গত ১ সপ্তাহে ১০টি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছে তালিবানরা। এদিনই তাদের হাতে এসেছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গজনি শহরও। কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থি এই শহর। আর এই শহর থেকে কাবুল-কান্দাহার মহাসড়কও নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা কাবুলের সঙ্গে দেশের দক্ষিণ প্রান্তের আফগান বাহিনীর শক্তঘাঁটিগুলির একমাত্র সংযোগ পথ।
এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই কার্যত আত্মসমর্পণ করল আফগান জাতীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই আফগান বিমানবাহিনীর উপর দারুণ চাপ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান নিরাপত্তা বাহিনী। সড়কপথে বিভিন্ন দিক থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে আফগানরা। ফলে গজনির পতনে বিমান বাহিনীর উপর চাপ আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য।
পশ্চিম আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশেরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে আফগান জাতীয় বাহিনী। গত মে মাসে মার্কিন বাহিনীর সেনা প্রত্যাহারের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হতে না হতেই আফগান জাতীয় বাহিনীর সঙ্গে তালিবানদের যুদ্ধ তীব্রতা লাভ করেছিল। মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি বিদায় নেওয়ার পর এখন উল্কার গতিতে এগোচ্ছে তালিবানরা। এমনকী, সাম্প্রতিকতম মার্কিন সামরিক মূল্যায়নেও তালিবানের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা বিবেচনা করে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাবুল ঘিরে ফেলতে পরে তালিবানরা। আর কয়েক মাসের মধ্যেই এই দেশ ফের পুরোপুরি তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে।
এরমধ্যে আবার এদিন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, আশরাফ ঘানি আফগান প্রেসিডেন্ট থাকলে, তালিবানরা নাকি আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে কথা বলবে না। তিনি শাসনে থাকলে রাজনৈতিক সমঝোতা করা কঠিন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিন-চার মাস আগেই তালিবানদের আলোচনায় রাজি করানোর চেষ্টা করে, তিনি এই কথা বুঝেছিলেন বলে দাবি করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সূত্র: এশিয়া নেট
-এটি