আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রিসে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস। টেলিভিশনের এক ভাষণে তিনি বলেছেন, মানবিকভাবে যতটা সম্ভব তা হয়তো আমরা করতে পারতাম, তবে অনেক ক্ষেত্রেই এটি যথেষ্ট ছিল না।
সপ্তাহখানেক ধরে গ্রিসজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে ভয়ংকর দাবানল। এতে ভস্মীভূত হয়েছে কয়েকশ ঘরবাড়ি। প্রাণভয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এখনো ধোঁয়া উড়ছে এভিয়া দ্বীপ, এথেন্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে। আগুন নেভাতে কাজ করছেন কয়েকশ দমকল কর্মী।
সরকার দাবানল নিয়ন্ত্রণে সময় মতো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। যথেষ্ট পরিমাণে দমকলের প্লেন পাঠানো হয়নি বলেও ক্ষোভ রয়েছে তাদের মনে।
গ্রিক প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নিজেদের বাড়িঘর বা সম্পদ পুড়তে দেখেছেন তাদের কষ্ট আমি বুঝতে পারছি। আমাদের দেশ অভূতপূর্ব মাত্রার প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে।
তার কথায়, দমকলকর্মীরা ‘অতিমানবিক ক্ষমতা’ দিয়ে আগুনের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছেন। এর পরও যেকোনো ধরনের ব্যর্থতা চিহ্নিত করা হবে।
ভয়াবহ এ দাবানলের জন্য ‘জলবায়ু সংকট’কে দায়ী করেছেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কয়েকশ কোটি ইউরো তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এভিয়ার মনোকারিয়া গ্রামের সভাপতি ক্লেলিয়া দিমিত্রাকি বলেছেন, তার মনে হয় না এলাকাটি কখনো ক্ষতি পোষাতে পারবে। তিনি বলেন, এটি সর্বনাশা। সব গ্রাম, এলাকা শেষ হয়ে গেছে। আমরা যে বেঁচে রয়েছি, সেটাই সৌভাগ্য।
গ্রিসে এবারের দাবানলে অন্তত তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে এক দমকলকর্মীও রয়েছেন। এছাড়া ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট ও আগুনে পোড়া জখম নিয়ে আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো ছাড়াও রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য থেকে এক হাজারের বেশি দমকলকর্মী, প্লেন ও আগুন নেভানোর সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। ইইউ বলছে, গ্রিসের দাবানল মোকাবিলায় তারা ইউরোপে এযাবৎকালের বৃহত্তম সর্বজনীন অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
সূত্র: বিবিসি
এনটি