আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি।
গতকাল শুক্রবার তেহরান সফররত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই অঙ্গীকার করেন। ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এসব তথ্য জানিয়েছে।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সাঈদ ইব্রাহীম রাইসি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান সব সুযোগ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিস্তার ঘটানো সম্ভব হলে তাতে উভয়দেশের জনগণই লাভবান হবে উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ঢাকার সঙ্গে তেহরানের সহযোগিতা শক্তিশালী করতে তার দেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সে সময় প্রেসিডেন্ট রাইসির দায়িত্ব পালন কালে বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রাইসি বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের সুপ্রাচীন সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন। সে সময় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ভিত্তিতে উভয়দেশে যৌথ পুঁজি বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। মিয়ানমার ইস্যুতেও কথা বলেন দুই দেশের প্রতিনিধি।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাইসি বলেন, নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতায় কাজে ইরান সাধ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি দল নিয়ে তেহরান সফর করেন শাহরিয়ার আলম।
গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হয় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান ইব্রাহীম রাইসি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেন। তার দায়িত্বগ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়েছে। দুই মেয়াদে আট বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান রুহানি।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির খুবই ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। এর আগে ২০১৭ সালে আরও একবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও মধ্যপন্থি নেতা হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে এবার খামেনির সমর্থন নিয়ে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিপুল জয় পান ৬১ বছর বয়সী সাঈদ ইব্রাহীম রাইসি।
-এটি