আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের চামান-স্পিন বোলডাক সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান। তারা বলছে, পাকিস্তান সীমান্তে কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে, এই কড়াকড়ি শিথিল করা না হলে সীমান্ত বন্ধ থাকবে। পাকিস্তানে ভিসামুক্ত প্রবেশের দাবিতে তালেবানের এই পদক্ষেপ।
স্পিন বোলডাক তালেবানের দখলে যাওয়ার পর থেকে পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে সীমান্তটি বন্ধ রেখেছিল, কিন্ত গত সপ্তাহে তা খুলে দেয়। কারণ স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানে সবচেয়ে ব্যস্ততম প্রবেশপথ এটি এবং প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র। ক্রসিংটি আফগানিস্তানের সমুদ্র যোগাযোগের একমাত্র পথ।
পাকিস্তান সীমান্তটি খুলে দিয়ে আফগানের নাগরিকদের ওপর ভিসা পদ্ধতি আরোপ করে। তালেবান ওই এলাকা দখলে নেওয়ার পর থেকেই এই কঠোর আইন কার্যকর করা হয়েছে। আগে আফগানিস্তানের মানুষ ভিসা ছাড়াই পাকিস্তান যেতে পারত।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের ভিসা কড়াকড়ি তুলে নিতে আহ্বান জানিয়েছে তালেবান। তাদের বক্তব্য, পাকিস্তানে প্রবেশে ভিসা সংক্রান্ত যেসব বিধি কার্যকর হচ্ছে তা তুলে নিতে হবে। তা না হলে ক্রসিং দিয়ে চলাচলকারী সকল প্রকার গাড়ি, যাত্রী, বাণিজ্যিক ট্রাক, মালামাল পরিবহন বন্ধ থাকবে।
এমনকি পথচারীরাও এই ক্রসিং দিয়ে চলতে পারবে না। পাকিস্তানে আফগান নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ঢুকতে দিতে হবে বলে দাবি তালেবানের। তালেবান নিয়ন্ত্রিত কান্দাহারের ছায়া সরকার এই বিবৃতি জারি করেছে।
তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবান কমান্ডাররা ক্রসিং বন্ধের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। শুক্রবার থেকে বর্ডার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ইরান, মধ্য এশিয়ান দেশ এবং পাকিস্তানের সীমান্ত ক্রসিংগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে তালেবান। এর মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে চামান-স্পিন বোলডাক ক্রসিং থেকে সবেচেয়ে বেশি রাজস্ব অর্জিত হয়।
এই সীমান্ত দিয়ে শুধু সাধারণ আফগানরাই চলাচল করে না বরং পাকিস্তানে যাওয়া আসা করেন তালেবান নেতা, তাদের পরিবার এবং স্বজনরা। দুই পাশেই তাদের বাড়িঘর রয়েছে। পাকিস্তানের লোকজনও এ পথ ব্যবহার করে আফগানিস্তানে অবাধে চলাচল করতে পারে।
আফগান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, তালেবানের দখলে যাওয়ার আগে এই ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন ৯০০ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করত। তালেবানের এই নিষেধাজ্ঞায় ওষুধ, নিত্যপণ্যসহ বহু প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেল।
চামান-স্পিন বোলডাক সীমান্ত তালেবান কর্তৃক বন্ধ করে দেওয়ার পর এখনও পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। সূত্র: গালফ নিউজ
-এটি