আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের নিকটে দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ তাপদাহের ফলে সৃষ্ট এ দাবানলে হাজার হাজার মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। ঝুঁকি বিবেচনায় এথেন্সের বাসিন্দাদের আপাতত ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর আল জাজিরার।
বুধবার গ্রিসের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এথেন্সের উপশহর ভারিম্পম্পি এবং তাতোইয়ের আগুন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে। সেখানে পাঁচ শতাধিক দমকলকর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তাদের সহায়তা করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, নয়টি হেলিকপ্টার ও পাঁচটি বিমান।
সিভিল প্রোটেকশন প্রধান নিকোস হার্ডালিয়াস বুধবার ওই এলাকায় একটি ফায়ার বিভাগের ভ্রাম্যমাণ সমন্বয় কেন্দ্র পরিদর্শনকালে বলেন, এটি ছিল আরও একটি কঠিন রাত। তিনি বলেন, বাতাস ও আর্দ্রতা কম থাকায় দমকলকর্মীরা একরাতের মধ্যে চারটি সক্রিয় দাবানল নেভাতে সক্ষম হয়েছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনো অনেক কাজ করতে হবে।
দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮১টি দাবানলের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলটি এখনো সক্রিয়।
মঙ্গলবার গ্রিক রাজধানীর কাছাকাছি পারনিথা পর্বতের পাদদেশে পাইন গাছের একাটি বিশাল বনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উচ্চ দহনযোগ্য এ বনে আগুন লাগায় তা আশপাশের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কিছু দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও যানবাহন পুড়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে কোনো মানুষের মৃত্যু না হওয়ায় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের আগুনকে ‘দুঃস্বপ্ন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বাস্তুচ্যুত লোকজন আবাসস্থলে ফিরতে না পারা পর্যন্ত সরকার তাদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করবে। ভয়াবহ এ দাবানলে তিন হাজার হেক্টর পাইন ও অলিভ বন পুড়ে গেছে। এথেন্স থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে পাত্রাস শহর থেকে গত শনিবার আগুনের সূত্রপাত হয়।
এনটি