শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আলিফ হত্যায় ৩১ জনের নামে মামলা করলেন তার বাবা সাড়ে তিন মাসে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২৯ বস্তা টাকা ১০ দিনের সফরে ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল ‘যারা আমাদের নিষিদ্ধ করেছিল, জনগণ তাদের নিষিদ্ধ করে দিয়েছে’ জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সশস্ত্র সঙ্ঘাতের জন্য আর্মেনিয়া দায়ী: আজারবাইজান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলমান সশস্ত্র সঙ্ঘাতের জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান। সোমবার আজারবাইজানের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আর্মেনিয়ার সেনারা দু’টি ভিন্ন এলাকায় আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করলে নতুন করে সঙ্ঘাত শুরু হয়।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভেদি শহরে অবস্থান করা আর্মেনিয়ার সেনারা আজারবাইজানের সদরক শহরের নখচিভান এলাকার হায়দরাবাদ গ্রামে আর কালবাজার শহরের ইউখারি আয়রিম গ্রামে দেশটির সেনাবাহিনীর অবস্থানের ওপর গুলি চালায়। এ সময় আর্মেনীয় হামলার প্রতিউত্তরে আজারবাইজানের সেনারাও গুলি চালায়।

সোমবার সকালে আজারবাইজানের কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, সোমবার ভোরের দিকে নখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র এলাকায় অবস্থিত আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর অবস্থানে গুলি চালিয়েছে আর্মেনিয়া।

আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের সম্পূর্ণ বিবৃতিতে বলেছে, ২ আগস্ট ভোররাতের দিকে ভেদি অঞ্চলের আরাজদিয়েন গ্রামে অবস্থান করা আর্মেনীয় সেনাবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট আজারবাইজানের নখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রের সদরক এলাকার হায়দরাবাদ গ্রামে ছোট অস্ত্রের মাধ্যমে হামলা করে। ওই সময় আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা করে আর্মেনীয় সেনারা। এ হামলায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে আর্মেনীয় হামলার প্রতিউত্তরে আজারবাইজানের সেনারাও গুলি চালিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমাদের সেনাবাহিনী পরিস্থিতি অনুকূলে নিয়ে এসেছে।

সাবেক সোভিয়েত এ দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনা এখনো বহাল রয়েছে। ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়ান সামরিক বাহিনী আপার কালবাজার নামে পরিচিত নাগারনো-কারাবাখ দখল করে নিলে উত্তেজনা শুরু হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৪ দিনের যুদ্ধে আজারবাইজান বাহিনী বেশ কয়েকটি নগর ও ৩০০টি বসতি মুক্ত করে। এরপর রাশিয়ার মধ্যস্ততায় দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়। কিন্তু এখনো দু’দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ