আবদুল্লাহ তামিম ও নুরুদ্দীন তাসলিম ।।
এ বছর হজে খুতবা দিয়েছেন সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের সদস্য, মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব বিশিষ্ট আলেম, শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। খুতবায় তিনি বলেন, হজ ইসলামের পাঁচ রুকনের গুরুত্বপূর্ণ একটি। সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানকে অবশ্যই হজ আদায় করতে হবে।
তিনি বলেন, নবী সা. বলেছেন, যে এলাকায় কোন ভাইরাস বা মহামারী ছড়িয়ে পড়বে, সেখানকার বাসিন্দারা যেন অন্য কোন এলাকায় না যায় এবং অন্য এলাকার লোকেরাও যেন সে এলাকায় প্রবেশ না করে। তারা নিজের এলাকা ও এলাকার বাসিন্দাদের জন্য দোয়া করবে। যখন কেউ কারো জন্য দোয়া করে তখন ফেরেশতারাও গর্ববোধ করেন।
তিনি বলেন, যে আল্লাহ তা'আলা মানুষের সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছে। ফকির-মিসকিন, অসহায়, দুর্বল-এর সাথে অনুগ্রহ করবে। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর খোঁজ খবর রাখবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহকারীদের পছন্দ করেন এবং অহংকারকারীদেরকে অপছন্দ করেন।
খুতবায় তিনি আরো বলেন, আসা বিপদ আপদে ধৈর্য ধারণ করা উচিত। নবীজি সাল্লালাহ সালাম বলেছেন, প্রত্যেক সৎকাজের নেকি দেওয়া হবে। আল্লাহ তায়ালার জীবন ও মৃত্যুকে সৃষ্টি করেছেন যেন পরীক্ষা করেন কে নেক আমল করে এবং কে বদ আমল করে।
তিনি বলেন, মানুষের দেয়া কষ্টে ধৈর্যধারণ করাই পৃথিবীর সৌন্দর্য। দুনিয়াতে যে অনুগ্রহ করবে আখিরাতে সে এর বিনিময়ে ভাল প্রতিবাদ পাবে।
আজ (১৯ জুলাই) সোমবার মসজিদে নামিরা থেকে বাংলাদেশ সময় ৩টা ৩০ মিনিটে খুতবা শুরু করেন শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা মূল খুতবা আরবিতে দেয়া হয়, তবে আরও ৯ ভাষায় (সংক্ষিপ্ত পরিসরে) অনুবাদ করা হয় তা, এর মধ্যে ছিল বাংলাও। খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিভিন্ন টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে।
আরাফাতের ময়দানে সমবেত মুসল্লিরা ১ লাখ ১০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের মসজিদে নামিরায় আদায় করেছেন জোহর ও আসরের নামাজ। পরে তারা পা বাড়ান প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের মুজদালিফার পথে। মাগরিব ও এশার নামাজ সেখানে পড়েন তারা। সেখানেই রাতে খোলা আকাশের নিচে ছিলেন। এটি ওয়াজিব।