বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সরকার ও উলামায়ে কেরামের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে: হাইয়াতুল উলইয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা অথরিটি আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সরকার ও উলামায়ে কেরামের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে বলে বিবৃতি প্রদান করেছেন। এছাড়াও কওমি মাদরাসা নিয়ে সরকারের একাধিক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও এমপির আপত্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

প্রতিবাদ বিবৃতিতে আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গত বেশ কিছুদিন যাবত সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও এমপি এ দেশের ঐতিহ্যবাহী কওমি শিক্ষাব্যবস্থা এবং কওমি মাদরাসা সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

বক্তব্যে তারা উল্লেখ করেন, কওমি মাদরাসাগুলোর শিশুদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে যুক্ত করা হচ্ছে; নারী, শিশু ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিদ্বেষী, জাতীয় চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিদ্বেষী করে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা হচ্ছে, কওমি মাদরাসায় ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা শেখানো হচ্ছে। সরকারের একজন উপমন্ত্রী এ দেশের উলামায়ে কেরামকে ইসলামের শত্রু বলে আখ্যায়িত করেছেন।

সম্প্রতি জনৈক এমপি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি কওমি মাদরাসায় কুরবানীর পশুর চামড়া দান না করার আহ্বান জানিয়েছেন। আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এসব বক্তব্য অসত্য, গর্হিত ও নিন্দনীয়। বক্তব্য দাতাগণ সরকার ও উলামায়ে কেরামের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করে হীনস্বার্থ হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

আজ রবিবার (১৮ জুলাই) আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটি ও পরীক্ষা উপকমিটির যৌথসভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন আল-হাইআতুল উলয়ার অধীন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন।

বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার সভাপতি মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মহাসচিব মাওলানা শামসুল হক; আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ; আযাদ দীনী এদারায়ে তা‘লীম এর সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দীন এর প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল বছীর; তানজীমুল মাদারিসের সভাপতি মাওলানা মুফতি আরশাদ রাহমানী, মহাসচিব মাওলানা ইউনুস এবং জাতীয় দীনী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মহাসচিব মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।

আরো উপস্থিত ছিলেন আল-হাইআতুল উলয়ার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল, অফিস সম্পাদক মাওলানা মুঃ অছিউর রহমান এবং বেফাকুল মাদারিসের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মুহাম্মাদ জুবায়ের, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আমীনুল হক, পরীক্ষা উপকমিটির সদস্য মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মুফতি নাসিরুদ্দীন, মাওলানা মুফতি আহমাদ আলী, মাওলানা সিরাজুল হক, মাওলানা মুফতি নূরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রহমান, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা মুফতি ইমদাদুল্লাহ কাসেমী প্রমুখ উলামায়ে কেরাম।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর