আবদুল্লাহ তামিম।। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানী কলজাল জেলার পাঁচমহলের ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানিকে একটি চিঠি লিখেছেন, অতিসত্যর জুলুমকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন।
আর অসহায় মুসলিম নারী-পুরুষদের দেরি না করে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পুলিশকর্মীরা যেভাবে মুসলমানদের ঘরে প্রবেশ করেছে এবং তাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলেছেন তিনি।
মাওলানা মাদানী এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। অবিলম্বে সেখানের মুসলিম সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের সমাধান করার অনুরোধও করেছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গরুর মাংস কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এমন গুজবের ভিত্তিতে গো রক্ষকের (বজরং দল) কর্মীরা একজন মুসলিম বৃদ্ধাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
একজন মুসলিম পুলিশ কর্মকর্তা তাদের কে থানা থেকে ছাড় পেতে সাহায্য করে। পরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হিন্দুরা তার বাড়িতে প্রবেশ করে। নারী ও শিশুদের এমনকি বৃদ্ধাদেরও মারধর করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, সে গো রক্ষা বাহিনী নারীদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে গালি দেয়, তাদের সঙ্গে অশ্লীল অচরণ করে। গর্ভবতী নারীদের নির্যাতন করে। নারীদের পোশাকের ছিঁড়ে দেয়।
সে ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরে একশো দশ জনকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ। এই সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে লিখতে গিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের একটি প্রতিনিধি দল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতি মাওলানা মাহমুদ মাদানীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাকে ন্যায়বিচার চাইতে অনুরোধ জানিয়েছে।
জমিয়াত ওলামা-ই-হিন্দের সভাপতি মাওলানা মাদানী মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছেন। বিষয়গুলিতে নজর রাখতে, নিরপরাধ মানুষকে ন্যায়বিচার আনতে সহায়তা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে জামায়াত ওলামা-ই-হিন্দ সাধারণ সম্পাদক হাকিমুদ্দিন কাসেমী বলেছেন, তিনি কললের স্থানীয় মুসলমানদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন। তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন।
-এটি