আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: করোনাক্রান্ত ব্যক্তিদের অক্সিজেন চাহিদা মেটাতে বুয়েট উদ্ভাবিত অক্সিজেট যন্ত্র উৎপাদনের অনুমতির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছে আবেদন করতে বললেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চে এ বিষয়টি উত্থাপন করলে তিনি তাকে লিখিতভাবে আবেদন করার কথা বলেন।
অক্সিজেট’ যন্ত্রটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি মিলছে না বলে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী অনিক আর হক। তিনি বলেন, বুয়েটের উদ্ভাবিত অক্সিজেট যন্ত্রটি এরই মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দুটি ধাপ সম্পন্ন করেছে।
ডিভাইসটি দিয়ে হাসপাতালের সাধারণ বেডে ৬০ লিটার পর্যন্ত হাই-ফ্লো অক্সিজেন দেয়া সম্ভব। তিনি আদালতকে জানান, এ যন্ত্রের বানিজ্যিক উৎপাদন হলে বিদেশ থেকে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা কিনতে আর সময় নষ্ট হবেনা। তখন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তাকে লিখিতভাবে আবেদনের পরামর্শ দেন।।
অনিক আর হককে উদ্দেশ্যে করে বিচারপতি আদালতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইনোভেটিভ মাইন্ডের। প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য তার মূখ্য সচিবকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকেও জানান।
অক্সিজেট সি-প্যাপ প্রকল্পটির আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প, অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এবং মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত রয়েছেন বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মীমনুর রশিদ, কাওসার আহমেদ, ফারহান মুহিব, কায়সার আহমেদ, সাঈদুর রহমান এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় কম খরচে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে ‘অক্সিজেট’ নামের উদ্ভাবিত ভেন্টিলেটর যন্ত্রটি একই সঙ্গে সহজে ব্যবহার ও বহনযোগ্য। এই যন্ত্র কোনো বিদ্যুৎশক্তি ছাড়াই অক্সিজেন সিলিন্ডার বা হাসপাতালে অক্সিজেন লাইনের সঙ্গে যুক্ত করে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
করোনাভাইরাস মহামারীকালে প্রায় ১০ মাস কাজ করে সম্প্রতি বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। এতে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তওফিক হাসান।
ইতোমধ্যে যন্ত্রটি বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) অনুমোদন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে পেরিয়ে তৃতীয় ধাপের অনুমতি পেয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুও হয়েছে।
-এটি