শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই

অক্সিজেনের অভাবে পাবনায় ৪ করোনা রোগীর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: অক্সিজেন সংকটে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

রোববার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে সোমবার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টার মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয় বলে তারা জানান। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃতরা হলেন সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের মৃত আলহাজ্ব দায়েন বিশ্বাসের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৭০), ঈশ্বরদীর চরকুরুলিয়া গ্রামের মৃত কোরবান সরকারের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন (৭০), পাবনার শহর এলাকার, নূরে আলম (৬৭), নাজমুল ইসলাম (৭২)।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দায়িত্বে থাকা একজন সিনিয়র চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পাবনা হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে।

হাসপাতালে এসেও রোগীদের বাইরে থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তাতেও সংকট কাটছে না। এখন কোনো রোগীর থেকে কেড়ে নিয়ে তো অন্যকে দেওয়া যায় না। ঘাটতির কারণে ঠিকমত অক্সিজেন সরবরাহ করতে না পারায় রোগীরা মারা গেছেন।

নিহত রাশিদা বেগমের বড় ছেলে মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, আমার আম্মাকে রবিবার দুপুরে ঠান্ডা-জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে সদরের করোনা ইউনিটে ভর্তি করেছিলাম। শুরু থেকেই অক্সিজেন সংকট ছিল। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ১০ বার বলার পরও তারা আমার মায়ের জন্য একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেয়নি। শেষে অক্সিজেন সংকট নিয়েই মায়ের মৃত্যু হলো।

তিনি জানান, এ সময় হাসপাতালের প্রতিটি রোগী প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছিল। অক্সিজেনের অভাবে তার সামনে তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আফসোস করে বলেন, অনেক আশা নিয়ে মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসছিলাম, ভেতরে ঢুকেই দেখি ন্যুনতম কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। নার্সরা ঠিকমত ডিউটি করতে আসছে না। করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর ভাই মামুন হোসেন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।

অনেক ভালো রোগীকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করে রেখেছে। আমার বোনকে ১২ দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। পরদিন করোনা পরীক্ষার নমুনা দিলে সোমবার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ফলাফল পাচ্ছি না। যার কারণে আমাদের রোগী এখন সুস্থ্য হলেও এই ওয়ার্ডে ভর্তি করে রেখেছে।

অক্সিজেন সংকটে মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই শেষ সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। শেষ সময়ে একজন করোনা রোগী হাসপাতালে আসলে কিছু করার থাকে না। যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই করোনা আক্রান্ত হয়ে শেষ সময়ে হাসপাতালে এসেছিল।

তিনি জানান, জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালু না থাকায় অক্সিজেনের ব্যাপক সংকট দেখা দিচ্ছে। মেডিফোল্ড সিস্টেমে বড় বোতলে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে, রোগীর চাপের সঙ্গে পাল্লা দিতে আরো অক্সিজেন প্রয়োজন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ