আ.স.ম আল আমীন
আমি হেদায়াতুন্নাহু জামাতের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বাড়ীতে যাই, আমার গ্রামের স্থানীয় এক আলেম সুযোগ পেলেই তিনি তাবলিগে সময় কাটান, পরীক্ষার পর লম্বা সময় থাকায় তিনি আমাকে তাবলিগে নিয়ে গেলেন। সোভাগ্যের বিষয় হলো জামাতের সব সাথী আলেম এবং বড় বড় মাদরাসায় খেদমত করেন।
আমি ছাত্র ও সবার ছোট। অন্যরকম এক আনন্দ। বড় মাপের ব্যাক্তিদের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি। এক কথায় ওলামাদের সফর, সফরের মিশন ছিল অমুসলিমদের মাঝে দাওয়াত প্রদান, সেই লক্ষ্যে চলে যাই বান্দরবন লামা উপজেলায়। সেখানের কোন এক মসজিদে অবস্থান করি।
সেখান থেকে একটু দূরে মেথর কোয়ার্টার পাহাড়, সেই পাহাড়ে দাওয়াতি কাজ করার জন্য আমাদের একটি টিম পাঠানো হয়। পাহাড়ে কিছু মানুষের সাথে কথা বলার পর তারা তাদের সরদারের কাছে আমাদেরকে নিয়ে যায়। আমির সাহেব তাদের কাছে ইসলামের সুমহান দাওয়াত তুলে ধরেন। তারা বলেন আগে কেউ আমাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিতে আসেনি।
তবে খ্রিস্টান মিশনারী সহ অন্যান্য আরো ধর্মের লোকেরা আমাদেরকে দাওয়াত দিতে আসেন। আমরা জানিনা কোনটা সঠিক ধর্ম। তাই সবার টা গ্রহণ করি।
ইসলাম যেহেতু এত সুন্দর ধর্ম তাই আপনারা আমাদেরকে কিছু দিন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষা দিন। ২য় দিন সকালে আমরা কিছু নাস্তা নিয়ে পাহাড়ে তাদেরকে তালীম দিতে যাই। পাহাড়ে ৪৩ জনভাইকে কালেমা তয়্যিবা শেখানোর পর সকলকে নাস্তা দেই।
এত সুন্দর কথা ও নাস্তা পেয়ে তারা আমাদেরকে তৃতীয় দিন যেতে অনুরোধ করেন। তৃতীয় দিন ঠিক ফজর পড়ে পাহাড়ে চলে যাই। আমাদেরকে দেখে সকলেই এক বাক্যে কালেমা পড়া আরম্ভ করলো। আমাদের সাথে মুসাফা করলো। সেদিন মনে পড়লো রাসুলের জামানার কথা। আমাদের কাছে মনে হয়েছে তাদের গাছ পালাও কালেমার সুর ধরেছে।
সেখানে একজন ছেলে তার মাতা পিতা কেউ জীবিত নেই। সে মুসলমান হওয়ার পর তার নাম রেখেছি ইব্রাহিম, জানিনা প্রিয় ইব্রাহিম ভাই কেমন আছেন। আমরা যদি প্রত্যেকে এভাবে দাওয়াতি কাজে বের হতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ পাহাড়ে কালিমার বাতাস বয়ে আনবে। সম্ভবত ২০১৪ এর সফর বান্দরবান পাহাড়ের শহরে।
লেখক: শিক্ষার্থী, মা'হাদুল ইকতিসাদ ওয়াল ফিকহীল ইসলামী, ঢাকা
-এটি