আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফাইজারের ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। এর ডায়লুয়েন্ট (টিকার সঙ্গে মিশ্রণ করার উপাদান) আসবে আজ রাতে। এরপর আগামী ১৩ জুনের পর থেকে ফাইজারের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (৭ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফাইজারের টিকার অন্যতম উপাদান ডাইলুয়েন্ট সোমবার রাতে আসার কথা রয়েছে। সেটা এলেই টিকা দেয়া হবে। একইসঙ্গে এ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে কাউকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়নি।
ফাইজারের টিকা কবে নাগাদ দেয়া শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এক লাখ ডোজের মতো (১ লাখ ৬২০ ডোজ) টিকা আছে। ডাইলুয়েন্ট আজ রাতে আসবে। আর টিকা আসার পর ফাইজারের টিকা এবং সিনোফার্মের টিকাদান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, চীন উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ সিনোফার্মের টিকা দিয়েছিল, সেটা এখন ব্যবহার হচ্ছে। আরও ছয় লাখ আশা করছি আগামী ১৩ জুন দেশে আসবে। আর এ টিকা দেশে আসার পর সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকাদান কর্মসূচি চলবে একসঙ্গে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিনোফার্মের সঙ্গে আরও দেড় কোটি টিকার জন্য চুক্তি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধও হচ্ছি আরও দেড় কোটি টিকার জন্য। সেটা যেন তারা তিন মাসে দেয়। পাশাপাশি সিনোভ্যাকও ইন্টারেস্ট দেখিয়েছে, তারাও টিকা বাংলাদেশে দিতে চায় এবং সেটা তারা বাংলাদেশে তৈরিও করতে চায়। সিনোভ্যাকের টিকার জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং দেশে এই টিকা উৎপাদনের জন্যও সিনোভ্যাকের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি এখনও ড্রাফট আকারে রয়েছে, সম্পূর্ণ হয়নি। তারাও আমাদের দেশে টিকা তৈরি করতে চায়।
ফাইজারের টিকা কারা পাচ্ছেন জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশেষ কোনও ব্যক্তিকে দিচ্ছি না। সিরিয়ালি যারা আসবেন, অর্থ্যাৎ নিবন্ধিত তারাই এ টিকা পাবেন।
-এএ