আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আন্তর্জাতিক চাপ, নিন্দা ও উপর্যুপরি রকেট হামলার মুখে অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। এর মাধ্যমে ১১ দিনের যুদ্ধের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। খবর বিবিসি’র।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আহবানে এক জরুরি বৈঠকে এ সম্মতি দেয় দেশটির সিকিউরিটি ক্যাবিনেট।
হামাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১ টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। তবে ইসরায়েল এই বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা যুদ্ধবিরতি অনুমোদনের সিদ্ধান্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে মন্ত্রিসভার বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, এটি কার্যকর হওয়ার সময় নিয়ে এখনও পর্যন্ত সবাই একমত হয়নি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিশরে প্রস্তাবিত এ যুদ্ধবিরতি চুক্তি হবে "পারস্পরিক এবং নিঃশর্ত"।
এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র উপদেষ্টা মার্ক রিগেভ জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট শর্তেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে। সে শর্তে তেল আবিব ও জেরুজালেমে হামলা বন্ধ করতে হবে হামাসের। গাজা থেকে রকেট হামলার কারণে সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে বৃহস্পতিবার। ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে মানবিক সঙ্কট চরম আকার ধারণ করায় বিশ্বের পরাশক্তিগুলো উভয়পক্ষকে যুদ্ধে বিরতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গবি আশকানাজির সাথে কথা বলেছিলেন। ফোনালাপে তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বার্তাটি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে আমেরিকা আশা করে শিগগিরই যুদ্ধবিরতি দেখতে পাবে।
তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। রয়টার্সকে এক মন্তব্যে তিনি জানিয়েছেন মার্কিন লক্ষ্য ছিল সহিংসতা শেষ করা।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৫ জনই শিশু। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার বিশাল এলাকা।
-এএ