আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদ উপলক্ষে ছোটাছুটি না করে, যে যেখানে আছেন, সেখানেই ঈদ উদযাপন করুন। আর যারা বিত্তশালী আছেন, তারা দুস্থদের সহযোগিতা করুন, সেটা আরও বেশি সওয়াবের কাজ হবে বলে আমি মনে করি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জলযান ও অবকাঠামোর উদ্বোধন করেন।
নৌ দুর্ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব থেকে দুঃখজনক যারা আমাদের এই নৌযানগুলি চালান বা পরিচালনা করেন বা যারা ব্যবসা করেন তাদের যাত্রীদের সুরক্ষার যেমন দেখতে হবে এবং যাত্রীদেরকেও নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটা নৌযানে কতজন মানুষ উঠতে পারে? বা চড়তে পারে। ঠেলাঠেলি করে একসাথে বেশি উঠতে যেয়ে তারপর একটা দুর্ঘটনা হবে এবং জীবন চলে যাবে। এ ব্যাপারে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, তাড়াহুড়া করে বাড়ি ফিরতে গিয়ে যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে- যে মানুষগুলোর জীবন চলে যায়, আর যারা আপনজন হারিয়ে বেঁচে থাকে তাদের কষ্টের কথাটা একবার চিন্তা করে দেখবেন। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। কোন একটা বিপদ আসলে ধৈর্য ধরতে হবে। সেই ধৈর্যটা সকলের ধরা উচিত এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাছাড়া যেসব নৌ-যান চলাচল করে সেগুলো রেজিস্ট্রেশন থাকা উচিত। রেজিস্ট্রেশন না থাকার কারণে অনেক সময় ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। নৌযানের চলাতে গেলে কতগুলো নিয়ম মেনে চলাতে হবে। নিয়মগুলি মেনে চলা একান্তভাবে অপরিহার্য।
করোনা প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা যাতে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সকলের কাছে আমার অনুরোধ- আপনারা স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে চলুন। আর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাতায়াত একেবারে না পারলেই করবেন না। কারণ যাতায়াত করতে গেলেই কে যে সংক্রমিত আপনি জানেন না, কিন্তু সে যখন অন্য জায়গায় যাবে অনেক লোককে করোনা সংক্রমিত করবে। তখন তাদের জীবন নিয়ে সমস্যা দেখা দিবে, সেটা যাতে না হয় সেজন্যই আমরা যাতায়াতের সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেই সাথে সাথে দেশের মানুষের আর্থিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন অব্যাহত থাকে সেটাও সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে করার ব্যবস্থা করেছি।
-এএ