আওয়ার ইসলাম: শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবসে আজ সকালে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার একপর্যায়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু গ্রুপ ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার গ্রুপের লোকদের মধ্যে ওই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপুর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। এমন সময় বিপরীত দিক থেকে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টার গ্রুপের সাবেক যুবদল নেতা মুন্না ও ছাত্রদল নেতা জামালের নেতৃত্বে বেশকিছু লোক দেশীয় অস্ত্র বল্লম-টেটা নিয়ে শহীদ মিনারের পেছনে রাস্তায় এসে অবস্থান নেন।
এরমধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আহ্বায়ক আনিছুল ইসলাম ঠাকুর ও সদস্য সচিব নুরুজ্জামান লস্কর তপু।
এসময় ঘটনাস্থলের পাশেই পুলিশ অবস্থান করছিল। হঠাৎ আনোয়ার হোসেন মাস্টার গ্রুপের লোকজন এলোপাতাড়ি ঢিল ছুড়তে থাকে। এতে উত্তেজিত হয়ে নুরুজ্জামান লস্কর তপু গ্রুপের লোকেরা এগিয়ে গেলে দুইগ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এসময় পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে সংঘর্ষে লিপ্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় পুলিশসহ দুইগ্রুপের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু বলেন, ‘আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাদের দেওয়া সময়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করার সময় আনোয়ার হোসেন মাস্টারের লেলিয়ে দেওয়া কিছু সন্ত্রাসী যুবদল নেতা মুন্না, ছাত্রদল নেতা জব্বার ও জামালের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে। এসময় আমাদের লোকজন তাদের প্রতিহত করতে গেলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুরো ঘটনা শহীদ মিনারে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এবং সাংবাদিকরা দেখেছেন।’
বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন মাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শহীদ মিনারে যাইনি। আগেই আমি সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি, শহীদ মিনারে আমার না যাওয়ার বিষয়টি। মুন্নার বাড়ির কাছে শহীদ মিনার। মনে হয় তপুকে দেখে মুন্না উত্তেজিত হয়ে এমনটি করতে পারে। মুন্না আমার কথা শুনে না। আমি এই ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নই।’
এ বিষয়ে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সরাইল থানার ওসিসহ মোট ৮ জন পুলিশ আহত হয়েছে।’
-কেএল