বেলায়েত হুসাইন
-স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
অপ্রতুল বেতন, আবাসন সঙ্কট, পরিবার বিরহ, সীমাহীন কাজের চাপ- এরকম হাজারো অসুবিধা এবং অগণিত ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েও ইসলামের খেদমত করে চলেছেন দেশের অসংখ্য কওমী মাদরাসা শিক্ষক। কওমী মাদরাসাগুলোর অর্থনৈতিক খাতটা প্রায় সবসময়-ই প্রয়োজনের তুলনায় অস্বচ্ছল থাকে। এজন্য অনেকক্ষেত্রে মাদরাসা পরিচালকরা যথেষ্ট আন্তরিক হওয়া সত্ত্বেও যথার্থভাবে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াতে পারেন না।
এই পরিস্থিতির পরও পরিচালকদের কেউ তুলনামূলক ‘ছোট’ কাজ করেও বড় কাজের প্রশংসা কুড়ান। হয়ে ওঠেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সম্প্রতি এমন-ই ক্ষুদ্র তবে অসামান্য এক কাজ করেছেন রাজধানীর মিরপুরস্থ মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ-ঢাকা এর পরিচালক মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী। তিনি তার পরিচালিত মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকদের জন্য ‘চিকিৎসা ভাতা’ চালুর ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মাদরাসার এক মিটিংয়ে শিক্ষকদের তিনি তার এ সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি বলেন, এখন থেকে মাদরাসার যেকোনো স্টাফ অসুস্থ হলে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যয়ভার মাদরাসা বহন করবে।
ব্যতিক্রমী এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অনুভূতি জানতে চাইলে আওয়ার ইসলামকে তিনি জানান, ‘আসলে এটিকে আমি শিক্ষকদের সাধারণ অধিকার জ্ঞান করি। সচরাচর কোথাও প্রচলন না থাকার কারণে ব্যতিক্রমী মনে হচ্ছে কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। আমার তো ইচ্ছা ও স্বপ্ন আরো বিস্তৃত ও অনেক বড় তবে নতুন প্রতিষ্ঠান ও নানা প্রতিকূলতায় সবকিছু বাস্তবায়ন করতে পারি না। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আমাদের মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ-ঢাকা আল্লাহ কবুল করেন এবং দিনদিন সবক্ষেত্রে এর উন্নতি হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ সাধ্যের সবটুকু দিয়ে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।
এনটি