আওয়ার ইসলাম: ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী একটি বাসে হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। ৪০ সদস্যকে বহনকারী বাসটিতে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিস্ফোরণ ঘটানো হলে অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। সামনে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চীনা বিপ্লবের নেতা মাও সেতুং-এর অনুপ্রেরণায় চার দশকের বেশি সময় ধরে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে মাওবাদীরা। বর্গা চাষি, দরিদ্র ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য জমি ও কাজের দাবিতে তাদের এই সশস্ত্র লড়াই।
ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য মাওবাদীদের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে ঘোষণা করেছে দিল্লি। কয়েক হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা নিয়ে ছত্তিসগড়ের বিশাল পাহাড়ি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে মাওবাদীরা।
মঙ্গলবার বিকালে মাওবাদী বিরোধী অভিযান চালানোর সময় ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুর নামক স্থানে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সেটি শূন্যে উঠে যায়। প্রায় ২০ ফুট এলাকায় তৈরি হয় গর্ত।
নারায়নপুরের পুলিশ সুপার মোহিত গর্গ জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সদস্যরা অবুছমাদ জঙ্গলে নক্সালবিরোধী অভিযান শেষে ফেরার পথে হামলার কবলে পড়ে। তিনি বলেন, নারায়নপুর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় গ্রামবাসী ছদ্মবেশ নিয়ে থাকা মাওবাদীরা হামলা চালায়। কেদানর অঞ্চলের ছোট একটি সেতু পার হওয়ার সময় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
আহতদের দ্রুত একটি জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রায়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, মাওবাদী অধ্যুষিত জেলাগুলোতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাগাতার অভিযানে ছত্তিসগড়ের পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের আতঙ্ক কেটেছে। তবে ছত্তিসগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো এলাকাগুলোতে মাওবাদীদের প্রভাব ও দাপট যে কমেনি, তা তাদের পরিকল্পিত হামলায় আবারও স্পষ্ট হয়েছে।
এনটি