আওয়ার ইসলাম: ফলাফল ঘোষণার আগেই সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে এ নিয়ে দেশটিতে মাত্র দুই বছরের মধ্যে চারবার পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে নেতানিয়াহুর প্রতি দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। নেতানিয়াহু প্রায় ১২ বছর ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন।
তিনিই প্রথম কোনো ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ করছে। গত বছর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনটি অভিযোগ আনা হয়। তবে বরাবরই তিনি সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
দেশটির প্রথম সারির তিনটি টেলিভিশনে বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নতুন সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন অর্জনে ব্যর্থ হতে পারেন। এর দুই ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যেই নিজেকে জয়ী দাবি করে টুইট করেছেন নেতানিয়াহু।
টুইট বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, আমার নেতৃত্বে ডানপন্থি এবং লিকুদ পার্টি বিশাল জয় পেয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটির সবচেয়ে বড় দল হিসেবে লিকুদ পার্টির কথা উল্লেখ করেছেন নেতানিয়াহু। বুথফেরত জরিপ বলছে দলটি প্রায় ৩১টি আসনে জয় পেয়েছে।
নেতানিয়াহু বলেন, এটা স্পষ্ট যে নাগরিকদের ভোটে ডানপন্থিরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তারা একটি স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী ডানপন্থি সরকার চায় যা ইসরায়েলের অর্থনীতি এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
জোট সরকার গঠনের জন্য ইতোমধ্যেই ডানপন্থি তিন দলের নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন নেতানিয়াহু। তার নেতৃত্বে এসব দল জোট সরকার গঠনের জন্য ইতোমধ্যেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বুথফেরত জরিপ বলছে, এই দলগুলো একত্রে ৫৩ থেকে ৫৪টি আসনে জয় পেয়েছে। তবে নেতানিয়াহুকে তার প্রধানমন্ত্রীর পদ টিকিয়ে রাখতে হলে অন্তত ৬০টি আসন যোগাড় করতে হবে।
জোটের বাইরে থাকা ইয়ামিনা পার্টি নেতানিয়াহুকে সমর্থন দিলে তাদের পক্ষে সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা সম্ভব হবে। ইয়ামিনি পার্টির নেতা নাফতালি ব্যানেট বলেছেন, তিনিও নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী, ইয়ামিনা পার্টি সাতটি আসনে জয় পেতে পারে।
এনটি