মাহমুদুল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি>
কওমি শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়ন ও পরীক্ষা কেন্দ্রিক অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা রোধে এবারের পরীক্ষা গ্রহণ চলছে অভিনব পদ্ধতিতে।
এবারের পরীক্ষা গ্রহণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরাও।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া এর অধীনে কেন্দ্রীয় পরীক্ষা চলছে দেশব্যাপী। অভিনব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। এবারে পরীক্ষা শুরুর মাত্র ১০ মিনিট আগে টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ই-মেইলের মাধ্যমে সারাদেশের এক হাজার ১৮৬টি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয়।
প্রতিটি কেন্দ্রের নির্ধারিত পরীক্ষকরা প্রশ্নপত্র সাথে সাথে ছাপিয়ে পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেন। কেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত রাখা হয় বিকল্প বিদ্যুৎ।
এবারের কওমি মাদরাসা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) পরিচালিত ১ হাজার ১৮৬টি কেন্দ্রে দুই লাখ আট হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র এক লাখ দুই হাজার ৫৮৪ জন। ছাত্রী এক লাখ ছয় হাজার ৪০৯ জন।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক মিডিয়াকে দেয়া বক্তব্যে বলেন, কওমি মাদরাসায় প্রশ্ন ফাঁস না হওয়াটা আমাদের ঐতিহ্য ও গর্বের বিষয়। গত বছর যা ঘটেছিল তা অনাকাঙ্ক্ষিত। ওই সময় সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছিলাম। আগামীতে আর যাতে প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা না ঘটে এ জন্যই এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলক শুধু এক জামাতের (শ্রেণীর) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম বা জিমেইলে পাঠানো হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে সব-কটি জামাতের পরীক্ষা এ প্রক্রিয়ায় নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় পরীক্ষা গত বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে। এ পরীক্ষা চলবে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এদিকে আগামী ৩১ মার্চ আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পরীক্ষা শুরু হবে। এতে ২২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।
-এটি