আওয়ার ইসলাম: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বোরকা পরে ঘরে ঢুকে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার তিন সন্তানের জননী ওই নারী আতঙ্কে স্বামীর ভিটে ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়িতে।
ঘটনার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুবায়ের আহমদ শিপু ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। তিনি সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আগতালুক গ্রামের মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের হাসান শিপু (২৭) গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে বোরকা পরে ওই নারীর ঘরের দরজা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর যাওয়ার সময় বিধবা নারীর মোবাইল নম্বর নিয়ে যায় অভিযুক্ত জুবায়ের এবং হুমকি দিয়ে যায় যে, ঘটনাটি যাতে জানাজানি না হয়। পরের দিন ফোন করে বলে সে আবারো আসবে। সুযোগ না দিলে বড় ধরণের ক্ষতি করবে। ভয়ে ভিকটিম নারী স্বামীর ভিটা ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান।
ভিকটিমের ভাই জানান, তার ৩১ বছর বয়সী বোনের ১১ বছর বয়সী একটি মেয়ে, ৮ ও ৪ বছর বয়সী দুইটি ছেলে রয়েছে। ছোট ছেলেকে মাত্র কয়েক মাসের রেখে প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে মারা যান স্বামী। ঘটনার রাতে বিধবা নারীর তিন সন্তানের বড় দুই জন ছিল তাদের মামার বাড়িতে। এই সুযোগে জুবায়ের ধারালো দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পরের দিন ভিকটিম নারী কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে তিনি বর্তমানে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
কানাইঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
-কেএল