বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চরমোনাই’র ফাল্গুনের মাহফিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাউসার লাবীব।।

আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ মুসলিম ধর্মীয় গণ জমায়েত ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই মাদ্রাসার ফাল্গুন মাসের বার্ষিক মাহফিল। শনিবার সকালে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম মোনাজাত পরিচালনা করেন।

মোনাজাতে দেশ, মানবতা, ইসলাম ও দেশের মানুষের শান্তি ও কল্যাণের জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়াও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামবিরোধী, মানবতাবিরোধী অপশক্তির হেদায়াত কিংবা ধ্বংসের জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া করা হয় মুসলমানদের ঐক্যের জন্য।

২৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বাদ জোহর চরমোনাইয়ের পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এই মাহফিল। মাহফিলে প্রধান ৭টি অধিবেশনের মধ্যে তিনি ৫টিতে বয়ান পেশ করেন এবং নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন, শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ২টি অধিবেশনে বয়ান পেশ করেন।

আখেরি বয়ানে হজরত চরমোনাই পীর বলেন, ‘মানুষ যখন আল্লাহ বিমুখ হয়ে যায় তখন মানুষের মধ্যে মানবতা থাকে না বিধায় তারা যে কোনো অপরাধে জড়িয়ে পরে। সুতরাং আমাদের সবার মধ্যে আল্লাহ ভীতি এবং আল্লাহ ও রাসূলের পূর্ণ আনুগত্য থাকতে হবে। আল্লাহ ও তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মনোনীত দীন ছাড়া অন্য কোনো তন্ত্রমন্ত্র কখনোই গ্রহণ করা যাবে না। যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের আদর্শ ছাড়া অন্য আদর্শ গ্রহণ করে কিংবা সে আদর্শের দিকে লোকদিগকে আহ্বান করে, নিশ্চয়ই তারা পথভ্রষ্ট।’

এই বছর চরমোনাই মাহফিলে এসে বেশ কয়েক অমুসলিম চরমোনাই পীরের হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নতুন এ মুসলমানদের সার্বিক দায়িত্ব বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি নিবে বলেও আশ্বাস দেন। এছাড়া মাহফিলে বেশ কয়েকজন মুসল্লি ইন্তেকাল করেন। এদের সবার জানাজা মাহফিলের মঞ্চেই অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পরে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।


সম্পর্কিত খবর