আবদুল্লাহ তামিম।।
করোনা মুক্ত হওয়ার পর রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত সীরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার, দাঈ ও সমাজকর্মী, আসসুন্নাহ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমদুল্লাহ বলেন, মাহফিলের শুরুতে আমি ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এর একটি উপমা দিয়ে শুরু করতে চাই। তিনি প্রায় বলতেন, মোবাইল দুই প্রকার। একটা বাটনওয়ালা মোবাইল। আরেকটা স্মার্ট ফোন। এ দুইটার ভিতরে তিনি একটা পার্থক্য বলতেন, বাটনওয়ালা মোবাইলে সব প্রোগ্রাম দেয়া থাকে। এটাতে নতুন করে কিছু করা যায় না। আর স্মার্ট ফোন যে যেমন প্রোগ্রাম পছন্দ করে ইনস্টল করে নিতে পারে প্লে স্টোর থেকে।
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীতে যত প্রাণী আছে তাদের মধ্যে অটো কিছু প্রোগ্রাম ইনস্টল করে দেন। যেমন হাসের বাচ্চা, ডিম থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পানিতে ছেড়ে দিলে সে সাতার কাটতে পারে। আর মানুষের একটা ছোট বেবি কে এমন করলে? সে মারা যাবে। মানুষকে আল্লাহ তায়ালা স্মার্ট ফোনের মত করে সৃষ্টি করেছেন। সে তাতে যেমন প্রোগ্রাম সেট করবে সে এমন করেই চলতে পারবে। তাই মানুষের উচিত সঠিক ও সুন্দর জিনিস তার জীবন নামক মোবাইলে ইনস্টল করতে হবে।
সীরাত কেনো পাঠ করতে হবে? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্যই এ কথাগুলো বলা। দেখেন রাসুল সা. এর সীরাতের প্রোগ্রাম যদি আমরা সেট করে নেই আমাদের জীবনে আর কিছু লাগবে না। সীরাত অনুযায়ী চলেই আমরা জান্নাত অর্জন করতে পারবো।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি নিশ্চিত করেছেন তিনি মহামারি করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ!! মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ ও আপনাদের নেক দোয়ায় হাসপাতালে টানা ছয়দিন বিজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকার পর শায়খ আহমাদুল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ)-কে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তিনি এখন ডাক্তারদের পরামর্শে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।
বাসায় অবস্থানকালে তাকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। এ সময় কথাবার্তা বলা এবং অন্যান্য কাজকর্ম করার ব্যাপারে তার জন্য বিধি-নিষেধ রয়েছে। মাসখানেক পর্যন্ত কোনো মানসিক এবং শারীরিক চাপ নিতে তাকে বারণ করা হয়েছে। তার ফুসফুসে নতুন করে সংক্রমণজনিত সমস্যা দেখা দেয়নি, তবে আগের সংক্রমণজনিত সমস্যার কিছুটা অবশিষ্ট রয়েছে। তার পরিবারের অন্য সদস্যদের অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে।
সবার কাছে শায়খের জন্য দোয়া কামনা করছি। আল্লাহ যেন শায়খকে পুরোপুরি সুস্থতা দিয়ে স্বমহিমায় আমাদের সামনে ফিরে আসার তাওফিক দান করেন।’
এর আগে গত (৪ ফেব্রয়ারি) বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হোন তিনি। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিন শুক্রবার তাকে স্থানান্তর করে ঢাকার অন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বাসা থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
-এটি