আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশ রেলওয়ের জনবল সংকট কাটাতে ১০ থেকে ১২ হাজার লোক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলে লোকবলের অভাবে প্রায় বন্ধ রয়েছে ১৩৬টি স্টেশন। লোকবল সংকট নিরসনে ইতিমধ্যেই আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। এই মাসের মধ্যেই ১০ থেকে ১২ হাজার লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার রেলভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন সমূহে আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা এবং পারস্পরিক শিখন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী।
নিয়োগের জন্য এ মাসেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘নিয়োগ দেওয়ার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেব। আমরা আশা করছি, আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে রেলের জনবল ঘাটতির অভিযোগ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে পারব।’
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে রেলের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। দিনরাত অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ফলে রেল সম্পর্কে মানুষের একটি পজিটিভ ধারণা তৈরি হয়েছে।’
রেলের সার্ভিস প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে রেলের পুরোপুরি সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু যথাসময়ে ট্রেন আসা যাওয়া না করতে পারলে ভালো সার্ভিস জনগণ পাবে না। আমাদের ট্রেনের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু ট্রেন লাইনের সংখ্যা বাড়ছে না। আমাদের ট্রেনগুলো বেশির ভাগই এক লাইনে চলাচল করে। ট্রেন লাইনগুলো যতদিন পর্যন্ত এক লাইন থেকে ডাবল লাইন না করা হবে, ততদিন ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় এড়ানো যাবে না। আর সিডিউল বিপর্যয় রোধ না করা গেলে জনগণ ভালো সেবা পাবে না।’
রেলের যাত্রীসেবার মানের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীদের পরিপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা জানেন ইতিমধ্যেই আমরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মগুলো উঁচু করেছি। তাছাড়া ট্রেনের ২০০ নতুন কোচে বায়োটয়লেটে যুক্ত করা হয়েছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী সহ ওয়াটারএইড এর কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) হাসিন জাহান সহ আরও অনেকেই।
-এটি