ইয়াহইয়া বিন আবু বকর।।
বিষাক্ত রসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে ফিলিস্তিনিদের পান ও জমিন সিঞ্চনের পানি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ রসায়নিক পদার্থের বিষাক্ত প্রতিক্রিয়ায় পানির সাভাবিক রঙ বদলে গিয়ে লাল নীল ও খয়েরি রঙে রূপান্তরিত হয়৷ পানি বিষাক্ত হওয়ায় ফিলিস্তিনিরা চরম পানি সংকটে ভুগছে বলে গত রবিবার (২১ফেব্রুয়ারি) এ্যারাবিক অরটি ডট কম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে৷
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ফুটেজে পানির চিত্রগুলো ফুটে ওঠেছে৷ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ী ঝর্ণা বেয়ে আসা পানিগুলো বিভিন্ন রঙে প্রবাহিত হচ্ছে৷ যার মধ্য থেকে একটি নালার পানি একেবারে রক্তের মতো লাল দেখাচ্ছে৷ ভিডিওটি ফিলিস্তিনের অধিবাসী সহ বিশ্ব মুসলিমের মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে৷ সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে নিন্দার ঝড় বইছে৷ এমন ঘৃণিত কাজ ইসরাইলই করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ কেননা অঞ্চলটিতে দখলদাল ইসরাইল প্রায়ই নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায়৷
স্থানীয় সূত্র জানায়, রামাল্লার পূর্বাঞ্চলের ‘ওয়াদি আন-নাব'আর’ ঝর্ণার পানি বিভিন্ন নালা বেয়ে “ওয়াদি কারাওয়াত বনি যায়েদ” নামক গ্রাম ও সেখানকার কৃষী জমীনগুলোর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হতো৷ এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের জমীগুলোর দিকে এর পানির প্রবাহ ও অব্যাহ ছিলো৷ গ্রামের লোকেরা এই পানি পান করতো এবং তাদের ক্ষেত সিঞ্চন করতো৷
এদিকে, গতকাল শনিবার কারাওয়াত বনি জায়েদের গ্রাম কাউন্সিল নিজস্ব ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিতে জানায়, বর্তমান যেই পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি হয়েছে, তা রসায়নিক পদার্থ ঢেলে পানি বিষাক্ত করে দেওয়ার কারণেই ঘটেছে৷ ফলে গ্রামের অধিবাসিরা মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে৷ ইতিমধ্যে বিষাক্ত পানির প্রাভাবটা নালার পাশের গাছগুলোতে পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ দেখা যাচ্ছে বেশকিছু গাছের পাতা কেমন চুপসে গেছে৷
কাউন্সিলটি এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলে, ঘৃণীত এই কর্মকাণ্ড আইনের সকল মানদণ্ডে অবশ্যই নিন্দনীয় ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ৷ আমরা গ্রাম কাউন্সিলের সরকারী কর্তৃপক্ষকে এই নাশকতার বিরুদ্ধে অতিসত্বর আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জোর আবেদন জানাবো৷ এবং গ্রামবাসীর জন্য স্বচ্ছ নির্মল পানির ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানাবো৷ যাতেকরে সবাই পরিবেশ দূষণ ও এই ক্ষতির প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারে৷
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী “মাই আল-কাইলা” এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তার ফেসবুক পেজে লিখেন, এটা একটা ঘৃণ্যতম হস্তক্ষেপ৷ এমন একটি সময় আমাদের পানিগুলোকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যখন আমাদের স্বচ্ছ পানির তীব্র প্রয়োজন৷ তিনি আরো বলেন, গতকাল আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ একটা দল পাঠিয়েছি৷ তারা পানিগুলোর নমুনা নিবে এবং পরীক্ষা করে দেখবে৷ এবং অপরাধীদের সণাক্ত করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে৷ তথ্যসূত্র: ওয়াতন নিউজ, এ্যারাবিক আরটি ডট কম৷
-এটি