মোস্তফা ওয়াদুদ: আমি আজকে মজলিসে দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের এ মজলিসে এসে অনেক শান্তি পেয়েছি। সেটা হলো আমি ঢুকেই সালাম দিলাম। সালামের সময় হাত কপালের উপর তুলেছিলাম। তখন হুজুর (আল্লামা মাহমুদুল হাসান) বললেন, এখানে হাত তুলতে হবে না। আর সালামের পরে বুকে হাত দিতে হবে না। আমি অনেক সময় বুকে হাত দিয়ে ফেলি। এখানে এসে এ শিক্ষাটি পেয়ে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে। বলেছেন বাংলাদেশের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল।
আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত মজলিসে দাওয়াতুল হকের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি ছোটোবেলা থেকেই নামাজ আদায় করি। এখনো নামাজ কাজা করি না। আমি তাবলিগেও সময় লাগিয়েছি। আমি আপনাদের একজন সাথী। মাদানীনগর মাদারাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ইদ্রিস আলী সন্দ্বীপী রহ. কে স্মরণ করে তিনি বলেন, মাদানীনগর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা ইদ্রিস আলী রহ. এর সাথে আমার পরিবারের অনেক সুসম্পর্ক ছিলো। আামার বাবা, শুশুর সবাই তার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতেন। তিনি আমার নির্বাচনী এলাকা ইসলামপুর উপজেলার জামালপুর জেলায় ২০ টি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেগুলোর সবগুলোর বর্তমান সভাপতি আমি। মাদানীনগর মাদরাসার বর্তমান দায়িত্বশীল মুফতি ফয়জুল্লাহ সাহেবের সাথেও আমার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
মন্ত্রী বলেন, একজন মানুষের ইমান, আমল ও আখলাক। এ তিনটি বিষয় ঠিক হয়ে গেলে সারা দুনিয়া ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আমরা যেনো ইসলাম মোতাবেক, কুরআন মোতাবেক ও সুন্নাত মোতাবেক জীবন পরিচালনা করতে পারি সেজন্য রাব্বুল আলামীন আমাদের তৌফিক দান করেন।
নিজ এলাকার জানাজার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এলাকার কারো জানাজা হলে আমি বলি, আজ তার জানাজা হচ্ছে, হতে পারে কাল আমার আপনার জানাজা হবে। তাই সামনের এ খাটিয়ার কথা স্মরণ করে নিজের জীবনকে শুধরে নেই।
সবশেষে তিনি বলেন, আমি আলেম না। তবে ছোটোবেলা থেকে এ কাজের সাথে যুক্ত। আমি আজ এসেছি। আবারো আসবো। ইনশাআল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আমীরে দাওয়াতুল হক মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, আল্লামা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর), অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধূরী, আল্লামা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী প্রমূখ দেশখ্যাত উলামায়ে কেরাম।
এমডব্লিউ/