আওয়ার ইসলাম: হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে পুলিশ ও ইসলামি সম্মেলনের আয়োজকরা।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছাতকে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের আগমনকে কেন্দ্র করে ছাতক উপজেলায় ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। আয়োজনকারীরা বলছেন, সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে ইসলামি মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে। তাকে সুরক্ষা দিতে ২০০ যুবকের স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মাওলানা মামুনুল হককে প্রতিহত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া হাফেজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদরাসার ৪৩তম বার্ষিক ইসলামি মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক উপস্থিত থাকবেন বলে পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মৈশাপুর গ্রামে আয়োজনকারীদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক বিষয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন।
সার্বিক বিষয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ পৃথক আলোচনা বৈঠকে বসেছে মাদরাসার হল রুমে। সেখানে মাওলানা মামুনুল হকের আগমনের সব প্রস্ততি শেষ করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এ সম্মেলনকে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে প্রায় ২ শতাধিক যুবকের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আব্দুস সামাদ একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষে ২ শতাধিক যুবককে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়েছে। সম্মেলনের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে থানার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসনের অনুমতি নেয়ার প্রস্ততি চলছে। আজ রাতেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, মাদরাসার মাহফিলে মাওলানা মামুনুল হক যাতে না আসেন, সেটা তারা দেখছেন। তবে অনুমতি ছাড়া যদি মাওলানা মামুনুল হক আসেন তাহলে সেটা আইনগতভাবে প্রতিহত করা হবে।
এমডব্লিউ/