আওয়ার ইসলাম: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, কোথাও কোথাও ভোটে সংঘাত হয়। এগুলো চলে গেলে খুশি হবো, কিন্তু যাচ্ছে না। আজকেও আমরা চট্টগ্রাম, যশোরে কথা বলেছি। ১৪ তারিখ ভালোবাসা দিবসের নির্বাচনকেও ভালোবেসে ফেললাম। আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে যা যা দরকার আমরা সব ঠিকঠিকভাবে দেখেছি। আমি আশা করি অন্তত এরপর থেকে যে নির্বাচন হবে ভালো হবে, সুষ্ঠু হবে; সংঘাত-সংঘর্ষ হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও নতুন সদস্যদের বরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ৭ এপ্রিল আরেকটি পৌরসভা নির্বাচন হবে, একইসাথে কিছু ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে। এ জন্যে ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় এ বিষয়টি চূড়ান্ত হবে, কয়টি পৌরসভা ও ইউপিতে ভোট করা যায় তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে রমজানে নির্বাচন হবে না। মার্চ মাসে কোন নির্বাচন হবে না, একমাস আমাদের ছুটিতে যেতে হবে। কারণ আমাদের ভোটার লিস্ট তৈরি করা, সেটা চূড়ান্ত করা, তালিকার সিডি করে প্রার্থীদের দিতে হবে; এ সকল কাজে সময়টা চলে যাবে।
সিইসি বলেন, ডিজিটাল যুগের ব্যবস্থাপনা আমাদের অনেক দূরে নিয়ে গেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। এখন আরেকটা লোক ভূয়া ভোট দিতে পারে না। এবার কয়েকজন ভূয়া ভোট দেয়ার চেষ্টা করেছিলো তাদের সাথে সাথে ধরে ফেলেছে। কারণ সিডি চেক করলে সাথে সাথে তার ছবিসহ সব দেখা যায়। আমরা যখন ছোট ছিলালাম তখন সিডি ছিলো না, ফলে ভূয়া ভোট হয়ে যেতো। তাই সিডির কাজের জন্য মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এপ্রিলে একটা নির্বাচন করব তারপর রমজানের ঈদের পর বাকি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনগুলো শুরু হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এতো রক্তপাত হয়েছে, এতো সংঘাত হয়েছে তা না। যেগুলো হয়েছে আমাদের কাম্য নয়। এগুলোতো প্রার্থী, প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে। আমাদের তো পুলিশ থাকে, কিন্তু একটা ঘটনা ঘটে গেলে তো কিছু করার থাকে না। প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকে, ম্যাজিস্ট্রেট থাকে। তারপরও এগুলো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে যায়। প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থকদের সহনশীল থাকতে হবে, আর আমাদের প্রচেষ্টা তো আছেই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-এটি