আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঢাকাতে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধুলা দূষণ। ৭০ টি স্থানে বাতাসের দূষণের মাত্রা অসহনীয়। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, বছরে জমছে প্রায় সাড়ে চারশ টন ধুলা। বর্ষার সময় মে থেকে জুলাই পর্যন্ত বাতাস নির্মল থাকলেও সারা বছর ঢাকার বাতাস থাকছে অস্বাস্থ্যকর। দুই সিটি কপোরেশন, ওয়াসাসহ পানি ছিটানোর কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
পূর্বাচল থেকে প্রগতি সরণি চলছে ১০০ ফুট প্রস্থ সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ। মূল সড়কের দুই পাশে উন্মুক্ত ভাবে রেখে দেয়া হয়েছে নিমার্ণ সামগ্রী। খোলা আকাশের নীচে টিলার মত স্তুপ করে রাখা হয়েছে বালু ও মাটি। যা দিন রাত ধরে উড়তে থাকে বাতাসে। রাস্তায় ধুলার কারণে কয়েক ফুট দুরত্বে রাস্তা দেখা যায় না।
আব্দুল্লাহপুরে চলছে সড়ক সংস্কারের কাজ। উত্তর দিক থেকে রাজধানীতে প্রবেশ মুখ আব্দুল্লহপুরের অবস্থা আরও করুন। দিনের বেলা ধুলার কারনে হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হয় গাড়ি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ফার্মগেইট, শেওড়াপাড়া, বিজয়নগর, গুলিস্থান ও যাত্রাবাড়ী এলাকা ধুলায় ধুসর হয়ে থাকে সব সময়। অথচ উত্তর ও দক্ষিণ সিটিকে এসব এলাকায় নিয়মিত পানি ছিটানর নিদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
ঢাকা উত্তর সিটির তথ্য বলছে, ৯৫ কিলোমিটার সড়ক, ৮৫ কিলোমিটার ফুটপাত ও ২৩ কিলোমিটার নর্দমা উন্নয়নের কাজ চলছে। এছাড়াও এলিভেটেড এক্সপ্রেস, মেট্ররেল প্রকল্পের আওতায় ১৭৫ কিলোমিটার রাস্তা, ২১৩ কিলোমিটার নর্দমা এবং ১১৮ কিলোমিটার ফুটপাতের উন্নয়নকাজ।
দক্ষিণ সিটি ৫০ কিলোমিটার সড়ক, ৫৪ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৪ কিলোমিটার ফুটপাত উন্নয়ন কাজ চালাচ্ছে। লোক সংকটের কারণে নিয়োমিত পানি ছিটার কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, রাস্তা খোঁড়াখুঁঢ়ি ও নির্মাণ কাজে ৩০ ভাগ , ইট ভাটা ও শিল্প কাখানায় ২৯ ভাগ, যানবাহন থেকে ১৫ দুষণ ছড়াচ্ছে। করোনা কালে, কিছুটা কমলেও যান চলাচল স্বাভাবিক হবার পর আবারও দূষণ বাড়তে থাকে।
ধুলার দূষণ রোধে রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী, যাত্রাবাড়ী, পূর্বাচল, কেরানীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ছিটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
-এটি