আওয়ার ইসলাম: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি টিকা নেবে না—এটা কখনো বলেনি। বিএনপি টিকা নিয়ে সরকারের দুর্নীতির কথা বলেছে। যার যখন সময় হবে, তখন সে টিকা নেবে।
সদ্য অনুষ্ঠিত দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত তুলে ধরে আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির নেতাকর্মীরা কি করোনার টিকা নেবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা টিকা নেব না, এটা কখনো বলিনি। টিকা নিয়ে দুর্নীতির কথা বলেছি। যার যখন সময় হবে, তখন টিকা নেবে। আর এটা তো কেউ দান করছে না। রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণকে সার্ভিস দেওয়া। এটা একটা প্রসেসিং।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অঘোষিত এক স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অধীনে থাকায় গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থার অসহনীয় যাতনার অভিজ্ঞতা থেকেই মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে একাত্ম। স্থায়ী কমিটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করতে এখনো অক্ষম বাংলাদেশ সরকারকে এই ব্যাপারে আরো কৌশলী ও সক্রিয় হওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ছিলেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য অবস্থানরত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুর থেকে বৈঠকে যুক্ত হন।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নড়াইলের আদালতে তারেক রহমান ও সাতক্ষীরার আদালতে দলের প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ১০ জন এবং পাবনার ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে সাজা প্রদান এবং দলের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানানো হয়। এসব ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
-এটি