আওয়ার ইসলাম: ২০০৭ সালের 'গেরুয়া বিপ্লবের' পর আবারও সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন মিয়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। সেনাশাসনের অবসান এবং অং সান সু চি ও অন্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারে তৃতীয় দিনের মতোবিক্ষোভ চলছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ‘গণতন্ত্র রক্ষা কর’, ‘স্বৈরতন্ত্রকে না বল’ আওয়াজে উত্তাল নেপিদো, ইয়াঙ্গুন, মান্ডালেসহ মিয়ানমারের ১২টিরও বেশি শহর ও নগর।
আজ সোমবার সেনা শাসনের বিরুদ্ধে টানা তৃতীয় দিনের মত প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে। ইয়াঙ্গুনে শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সামনের সারিতে থেকে প্রতিবাদ করেছেন দেশটির বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। ২০০৭ সালের ‘গেরুয়া বিপ্লবের’ পর এই আন্দোলনই দেশটির ইতিহাসে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
রাজধানী নেপিদোতে আন্দোলনকারীদের দমাতে জালকামান ব্যবহার করে পুলিশ। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই শীর্ষনেত্রী অং সান সুচি এবং অন্যান্য বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি নির্বাচিত সরকারের হাতে অবিলম্বে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান। হাজার হাজার আন্দোলনকারীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে নার্সরাও।
এদিকে, মিয়ানমারে একদিনের ব্ল্যাকআউটের পর আবারো চালু হয়েছে ইন্টারনেট সেবা। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই পুরো বিশ্বের নজর দেশটির দিকে ।
গেল নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি ও জালিয়াতি করে এনএলডি জয় পেয়েছে , এমন অভিযোগে সম্প্রতি ক্ষমতা দখল করে নেয় সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিন্দা আর প্রতিবাদের মুখে পড়েছে দেশটি।
-এটি