আওয়ার ইসলাম: কাতারের সঙ্গে সৌদি মিত্রদের পুনর্মিলন কি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা ছিল? এ সম্পর্ক কি ফের ভাঙনের মুখে পড়ছে? দোহার বিরুদ্ধে আবুধাবির এক ‘গোপন তৎপরতা’ ঘিরে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, কাতারের ওপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘ইলেকট্রনিক স্পাই নেটওয়ার্ক’ গঠন করেছে মর্মে সংবাদ প্রকাশের পর মধ্যপ্রাচ্যে ফের অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা দেখতে পাচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
দীর্ঘদিনের বিভেদ ভুলে গত ৫ জানুয়ারি কাতারের সঙ্গে পুনর্মিলন চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর। সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালে দোহার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি নেতৃত্বাধীন দেশগুলো। অবশ্য, এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছিল কাতার।
কাতারের ওপর গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘ইলেকট্রনিক স্পাই নেটওয়ার্ক’ গঠন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে
সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার জন্য কাতারকে যে শর্ত দিয়েছিল সৌদি মিত্ররা, তার মধ্যে ছিল- তুরস্ক ও ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, আলজাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করতে হবে এবং মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডকে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। কিন্তু এর কোনোটিই মানতে রাজি ছিল না কাতার।
তুরস্ক ও ইরানের সার্বিক সহায়তার কারণে চার দেশের অবরোধ দৃশ্যত কোনো ফল দেয়নি। এরপর বৈশ্বিক রাজনীতির কাছে নতিস্বীকার করে বিনাশর্তে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্মত হয় দেশগুলো। সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথমে রাজি না থাকলেও সৌদি আরবের চাপে তারা কাতারের সঙ্গে আলিঙ্গনে বাধ্য হয়।
এখন, কাতারের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতের গুপ্তচর নেটওয়ার্ক পরিচালনা তাদের পুনঃপ্রতিষ্ঠিত সেই সম্পর্কে ফাটল ধরাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
-এটি