আওয়ার ইসলাম: আল-জাজিরার রিপোর্ট প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের কারণে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলটির গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। তিনি বলেন, পাবলিক বুঝেছে যে এটা মিথ্যা তথ্য। সেটা আমরা দেখব। যেখানে তথ্যগত ভুল আছে, সেগুলো আমরা তুলে ধরব। আর আমরা মামলা করব। আমরা সেটার জন্য কাজ করছি।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এক্সিম ব্যাংক আয়োজিত মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিনি। উনার ৪৫ বছরের রাজনীতির জীবনে এখন এসএসএফ গার্ড দেয়। কোনোদিন কোনো বডিগার্ড ছিল না। কিন্তু ওই খানে (আল-জাজিরার প্রতিবেদনে) একজনের ছবি দিয়ে বলেছে, এটা উনার বডিগার্ড। এ রকমের মিথ্যা তথ্য মেনে যায় না।
তিনি আরো বলেন, আল-জাজিরার এমন তথ্য বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। যেখানে ৩৩ লাখ মারা গেছে। সেখানে তারা বলে ৩ লাখ মারা গেছে। তারা অনেক সময় উল্টাপাল্টা তথ্য দেয়। প্রতিবেদন যদি সত্য হয় সেটা আমরা তদন্ত করব। যদি মিথ্যা হয় তাহলে বাদ দেব।
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তিনি বলেন, নতুন সেনা সরকার দেশটির রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে রোহিঙ্গারা সরকারের কাছে নিজেদের অবস্থা তুলে ধরেন। এ সময় মিয়ানমারের রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ধাপে ধাপে অবস্থার পরিবর্তন হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন সামরিক কর্মকর্তারা। এ খবরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গাদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিয়েছে। এটি একটি ভালো খবর বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের কারণ ব্যাখ্যা করেছে। ব্যাখ্যায় মিয়ানমার বলেছেন, দেশটিতে গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১০ লাখের বেশি ভুয়া ভোট হয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে কারচুপির কারণেই সেনাবাহিনী ক্ষমতার পালাবদল ঘটিয়েছে বলেও ব্যাখ্যায় জানানো হয়।
এমডব্লিউ/