আওয়ার ইসলাম: বিশ্বে বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট। এক দেশ থেকে আরেক দেশে ভ্রমণ করতে গেলেই লাগবে এই বিশেষ পাসপোর্ট। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে এরই মধ্যে অ্যাপের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এটি তৈরির কাজ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ কাজে সহযোগিতা করছে। দেশে দেশে শীতের জড়তা কাটিয়ে উঁকি দিচ্ছে বসন্ত।
বিশ্বব্যাপী মানুষ অপেক্ষায় ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার। স্থবির জীবন থেকে পরিত্রাণের। তবে করোনার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ রুখতে টিকা কার্যক্রম চলছে। আগের মতো চাইলেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে ছুটে চলা যাবে না, প্রয়োজন হবে বিশেষ পাসের। যাকে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ বা ইমিউনিটি পাসপোর্ট বলা হচ্ছে।
বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে মিলবে এ ডিজিটাল হেলথ পাস। করোনা সংক্রমণ ও যে কোনো টিকা সংক্রান্ত সব খুঁটিনাটি থাকবে এই অ্যাপে। অর্থাৎ কোনো ধরনের সংক্রমণ আছে কিনা, কী কী টিকা নেওয়া আছে কিংবা নেই, থাকলে কবে, কখন- এসব বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। সেসব তথ্য নিয়েই তৈরি হবে ডিজিটাল হেলথ পাস বা ভ্যাকসিন পাস। ভ্রমণ তো বটেই, আরও নানাক্ষেত্রে দেখানোর প্রয়োজন পড়বে এ প্রমাণপত্র।
মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভ্রমণসহ বাইরের অনেক ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হবে এই পাস। যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট সম্পর্কিত স্মার্টফোন অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক নির্বাহী আদেশে সরকারি এজেন্সিগুলোকে অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট সমন্বয় করার কথা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে ডিজিটাল ভার্সন তৈরির নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
সুইডিশ সরকারও ইতোমধ্যে করোনার ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের জন্য ডিজিটাল 'ভ্যাকসিন পাসপোর্ট' চালু করতে যাচ্ছে। সুইডেনের তিনটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ডেনমার্ক সরকারও একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছে। তারাও ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ব্যক্তিদের জন্য একটি ডিজিটাল পাসপোর্ট তৈরির কাজ করছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও সম্পৃক্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এমডব্লিউ/