আওয়ার ইসলাম: উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘুদের নির্যাতন ইস্যুতে বৈশ্বিক চাপের মুখে পড়েছে চীন। নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ এমপিরা।
এদিকে, চীনের মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দেশটিতে হতে যাওয়া অলিম্পিক বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি মানবাধিকার সংগঠন। তবে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে চীন। শিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে অমানবিক যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে মুসলিম নারীরা এই ইস্যুতে গেল বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি। ওই প্রতিবেদনে, বন্দিশিবিরে উইঘুর মুসলিম নারীদের নানা নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরা হয়।
এরপরই তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ ঘটনায় চীনকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে যুক্তরাষ্ট্র। ইস্যুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার এক বির্তকের আয়োজন করা হয় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। এসময় চীনের এমন আচরণে উদ্বেগ জানানোর পাশাপাশি দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় পার্লামেন্ট সদস্যরা।
এশিয়া বিষয়ক ব্রিটিশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিগেল এডামস বলেন, 'যদি তারা বলে যে সেখানে কোনো অপরাধ হচ্ছে না তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যেতে দেয়া হোক। তাহলেই তো বিষয়টি সবার কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে। আর এ জন্যই যুক্তরাজ্য চীনের উপর চাপ বৃদ্ধি করতে পারে।'
এ ধরনের অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বেইজিংয়ে আয়োজিত ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক গেমস বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। অলিম্পিক গেমস বয়কট করে সংখ্যালঘুদের প্রতি নিজেদের সমর্থন প্রকাশের আহ্বান জানায় তারা।
তবে, উইঘুর ইস্যুতে নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে বিবিসির প্রতিবেদন মিথ্যা দাবি করে, শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু নারীরা কোনো ধরণের নিপীড়নের শিকার হচ্ছে না বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় নি বলেও উল্লেখ করা হয়।
-এটি