শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

অবরুদ্ধ গাজার মুসলিমদের জন্য ৩৬০ মিলিয়ন ডলার অনুদান বরাদ্দ করলো কাতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইয়াহইয়া বিন আবু বকর নদভী৷।।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মুসলিম অধিবাসিদের জন্য আর্থিক অনুদান বরাদ্দ করেছে কাতার৷

আরবি সংবাদমাধ্যম ‘আল খালিজ’ গতকাল রোববার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানায়, কাতারের আমির ‘শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানি’ জানুয়ারি মাসের শুরু থেকে পুরো বছর ধরে ব্যয় করার জন্য গাজা উপত্যকার অধিবাসিদের জন্য একটি আর্থিক অনুদানের বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, আমেরিকান ডলারে এর পরিমাণ প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন ডলার।

ফিলিস্তিনের একটি জতীয় কমিশন আলকুদসকে জানায়, ফিলিস্তিনের মুসলিম অধ্যুসিত গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার অবরোধের ফলে শুধুমাত্র ২০২০ সালেই দেড়হাজার মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে৷ ১৪ বছর যাবত লাগাতার অবরোধের ফলে ফিলিস্তিনবাসী চরম সংকট ও দুর্দিনের মধ্যে দিয়ে কালাতিপাত করছে৷

কিছুদিন পূর্বে আলকুদস এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলো, দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের লাগাতার ১৪ বছর অবরোধের ফলে ফিলিস্তিনিদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়েছে৷ তবে সবকিছুর বিবেচনায় ২০২০ সালটি সবচে বিপজ্জনক হয়ে দাড়িয়েছে৷ একদিকে ইসরায়েলী অবরোধ ও বিমান হামলা, অন্যদিকে করোনার প্রকোপ। যার কারণে গাজায় বর্তমান প্রায় ৭০% পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে৷ এছাড়াও ৮৫% এরও বেশি দারিদ্রতার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে এবং বেকারত্বের হার বেড়েছে 60 শতাংশ। বর্তমানে সেখানে ৩৫০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক বেকার ৷ বিমান হামলার ফলে গাজা উপত্যকার বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে৷ ফলে ঠিকমত বিদ্যুৎ ও সরবরাহ করতে পারছেনা৷

কমিশনটি আরো জানায়, অবরোধের শুরু থেকেই ৮০% কারখানা বন্ধ রয়েছে৷ অন্যদিকে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ও কারখানার যাবতীয় উপকরণের আমদানি-রফতানি সীমাবদ্ধ করে দেয়ার কারণে এবং বিদ্যুৎ সরবারহের স্বল্পতার কারণে খানাগুলির উত্পাদন হার হ্রাস পেয়ে ২০% এ নেমে এসেছে৷ অন্যদিকে শ্রমিক ও দোকান এবং কর্মশালার মালিকদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ও ব্যপক অবনতি ঘটেছে।

শেখ তামিম বিন হামাদের বক্তব্য, ইসরায়েলের সহিংসতা ও অবরোধের ফলে আমাদের পড়শী রাষ্ট্র ফিলিস্তিন অধ্যুসিত গাজা উপত্যকার অধিবাসিরা চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে দিন গুজরান করছে৷ এই অনুদানটি কর্মীদের বেতন প্রদান ও দরিদ্র পরিবারের জন্য, এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচলনার জন্য প্রদান করা হবে৷ যাতে করে তারা আর্থিক দৈন্যতা ও মানবিক পরিস্থিতির অবনতি কাটিয়ে উঠতে পারে৷ সূত্র: আলখলিজ আলজাদিদ, আশ শারক, আলকুদস আরবি৷

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ