আওয়ার ইসলাম: রংপুরে প্রথম ধাপে সুরক্ষিত অবস্থায় ২ লাখ চার হাজার ডোজ করোনার টিকা এসে পৌঁছেছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।
রোববার সকাল ৬টার দিকে বেবেক্সিমকো ফার্মার কাভার্ড ফ্রিজার ভ্যানে রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ইপিআই স্টোরে টিকাগুলো এসে পৌঁছায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে ১৭টি কার্টুনে ২০ হাজার ৪০০ ভায়াল এসেছে। প্রতি ভায়ালে ১০টি করে টিকার ডোজ রয়েছে। সেই হিসেবে মোট ২ লাখ চার হাজার ডোজ ভ্যাকসিন এসেছে। একজনকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হবে। ফলে এক লাখ দুই হাজার মানুষকে এই টিকা দেয়া যাবে।
সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, ঢাকা থেকে নির্ধারিত তাপমাত্রায় টিকাগুলো সুরক্ষিতভাবে এসেছে এবং ইপিআই স্টোরে সেভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলোর তাপমাত্রা বাইরে থেকেও অনলাইনে যাচাই করা যাবে।
তিনি বলেন, এখন টিকা প্রদানের বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৪ জন ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী নেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের টিকা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর তালিকা তাদের হাতে এসেছে। পর্যায়ক্রমে নিয়মমাফিক এসব টিকা দেয়া হবে।
এছাড়া https://surokkha.gov.bd অ্যাপের মাধ্যমে ৫৫ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো ব্যক্তি নাম তালিকাভুক্ত করতে পারবেন। যারা তালিকাভুক্ত হবেন তাদের মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে টিকা প্রদানের সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হবে।
এ সময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা, করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ ও সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (সিটিএসবি) শরীফ আল রাজীব, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ, ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও কোল্ড ইন টেকনিশিয়ান আলাউদ্দিন আল আজাদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
-এএ