আওয়ার ইসলাম: করোনার কারণে পরীক্ষা ছাড়া অটো পাস বিষয়ে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিল-২০২১’, ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ এবং ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে। আজ রোববার সকালে সংসদে এই বিল পাস হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে করোনার কারণে পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসির ফল প্রকাশে সাধারণ শিক্ষা, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড আইনের সংশোধনী প্রস্তাব সংসদে উত্থাপিত হয়। খুঁটিনাটি বিষয় যাচাই-বাছাই করে সর্বোচ্চ দুই দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ফল প্রস্তুত রয়েছে। আইন পাস হলেই তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধই রয়েছে দেশের প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১০ মাসের অচলাবস্থায় এইচএসসি পরীক্ষায় বসতে পারেনি দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী।
পরীক্ষা না নিয়ে বিকল্প মূল্যায়নের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এই পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশে আইনি জটিলতা দেখা দেওয়ায় ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় শিক্ষা বোর্ড সংক্রান্ত তিনটি আইনে সংশোধনীর খসড়া চূড়ান্ত করে সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম। এ সময় ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২১, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল-২০২১ এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড সংশোধন বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি জানান, সংসদে আইন পাস হলেই ফল প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার ফলাফল আমাদের প্রস্তুত রয়েছে। বিদ্যমান আইনে যেহেতু রয়েছে পরীক্ষাপূর্বক ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি কারণে আমরা এবার পরীক্ষা নিতে পারিনি। বিশেষ পদ্ধতিতে ফলাফল দিতে চাচ্ছি। এ জন্য আইনটি সংশোধন প্রয়োজন।
এই সংশোধনী আইনে কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে বিনা পরীক্ষা কিংবা সীমিত সিলেবাসে বিশেষ মূল্যায়নের বিধান রাখা হয়েছে। সংসদে ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিলটি একদিনের মধ্যে এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সংশোধনী আইনটি দুদিনের মধ্যে বিশদ যাচাই-বাছাই করে রিপোর্ট দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
-এএ