আওয়ার ইসলাম: ‘উস্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণে উম্মতের একজন সন্তানও যেন ঝরে না পড়ে। মাদরাসা ছেড়ে চলে না যায়।’ গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট নগরের চান্দাইরে অবস্থিত নুরানী তালিমুল কোরআন সিলেট বিভাগের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন আওয়ার ইসলাম সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব।
তিনি বলেন, কোরআনের খাদেম নুরানীর শিক্ষকদের ইখলাস ও মহব্বতের সঙ্গে খেদমত করতে হবে। উম্মতের প্রতিটি সন্তান আমানত স্বরূপ। লাখো শিশুকিশোর থেকে কুদরতি ফায়সালায় একজন এসে মাদরাসায় ভর্তি হয়। শিখতে চায় মহাগ্রন্থ আল কোরআন। পেতে চায় ইসলামের আলো। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে কোথাও কোথাও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে তারা মাদরাসা থেকে ঝরে পড়ে। বের হয়ে যায়।
রত্নতুল্য এ কচিকাঁচাদের বেত্রাঘাত কিংবা তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ পরিহারের জোড় তাগিদ দেন তিনি।
নুরানীর শিক্ষকদের তিনি মাকারিমে আখলাকের উদাহরণ দিয়ে বলেন, নিষ্পাপ বাচ্চারা মা-বাবার আদর সোহাগ ছেড়ে আপনাদের কাছে কোরআন শিখতে আসে। আল্লাহ রাসুল চিনতে আসে। ইসলাম বুঝতে আসে। তাই তাদের মাতৃ ও পিতৃস্নেহের পরশ দেয়া আপনাদের মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কারপরিচ্ছন্নতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, মাদরাসার পরিবেশ সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখা চাই। কেননা পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পরিবেশ পড়াশোনার সহায়ক। তাছাড়া এটি শিশুদের মনন ও মানসিকতা বিকাশে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট নুরানী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নাযেমে তালিমাত মাওলানা সাহেদ আহমাদ, লেখক, সাংবাদিক মাওলানা জামিল আহমদ, আওয়ার ইসলামের সাব-এডিটর কাউসার লাবীব।
প্রসঙ্গত, শাইখুল কোরআন আল্লামা কারী বেলায়েত হুসাইন রাহিমাহুল্লাহর স্মারক গ্রন্থের কাজ করছে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল 'আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম'। স্মারকের কাজ ত্বরান্বিত করতে আওয়ার ইসলামের একটি প্রতিনিধি টিম বর্তমানে সিলেট বিভাগ সফর করছে।
-এএ