শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না: হেফাজত মহাসচিব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।মুহাম্মদ ইশতিয়াক সিদ্দিকী, হাটহাজারী প্রতিনিধি।।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের (ভারপ্রাপ্ত) মহাসচিব ও ঢাকা খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদরাসার পরিচালক আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন, কওমি মাদরাসা কুরআন হাদিস শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র। দ্বীন রক্ষার মজবুত দূর্গ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিষ্ঠিত মক্কার দারে আরকাম ও মদিনার দারুচ্ছুফফার অংশ হলো কওমি মাদরাসা। কওমি মাদরাসার ইতিহাস সোনালী ইতিহাস। ইসলাম, মুসলমান, দেশ ও জাতীর কল্যাণে কওমি মাদরাসা এবং উলামায়ে কওমিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। কওমি মাদরাসায় পড়ে কুরআন-সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান অর্জন করে দীনের ধারক-বাহক, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক তৈরী হয়। সম্প্রতি কওমি মাদরাসা ও হক্কানি ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট- দ্বীন প্রচারের অন্যতম মাধ্যম কওমি মাদরাসা ও ওয়াজ মাহফিলের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।

গতকাল ১৬ জানুয়ারি শনিবার বাদ মাগরিব দেশের জনপ্রিয় ওয়ায়েজ মাওলানা আব্দুল খালেক শরীয়তপুরী পরিচালিত নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মারকাজে তালীমুস সুন্নাহ’র বার্ষিক ইসলাহী মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী আরো বলেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশের জন্য রহমত স্বরূপ। বৈশ্বিক মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাসে বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেছে। সুপার পাওয়ার, উন্নত বহু রাষ্ট্রও করোনায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
তবে আল্লাহ তায়া’লার অশেষ রহমতে বাংলাদেশে করোনায় তেমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। কওমি মাদরাসায় হিফজখানার কোমলমতি শিশুরা গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে ওজু করে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে, কুরআন তেলাওয়াত করে, জিকির আজকার করে। এর বরকতেই আল্লাহ তায়া’লা করোনা ভাইরাস থেকে বাংলাদেশকে হেফাজত করেছেন।

হেফাজত মহাসচিব আরো বলেন,কওমি মাদরাসা সরকারি কোন অনুদানে চলে না। আল্লাহর বিশেষ রহমত ও জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে জনগণের খেদমতেই নিয়োজিত থাকে। তাই কওমি মাদরাসায় সার্বিক সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কওমি মাদরাসা ও হক্কানি ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে নাস্তিক মুরতাদ আর রাম-বামদের আস্ফালন বন্ধে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহবান জানান হেফাজত মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জিহাদী।

শায়েখ জাকারিয়া ইসলামিক রিচার্স সেন্টারের পরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বয়ান করেন, দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজি প্রমূখ।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ