আওয়ার ইসলাম: কুয়েতে পার্লামেন্ট ও সরকারপ্রধানের মধ্যে বিরোধে একযোগে পদত্যাগ করেছেন দেশটির মন্ত্রীরা।
ডয়চে ভেলের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-সাবাহর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
গত একমাস ধরে ধরে পার্লামেন্ট বনাম সরকার মানে প্রধানমন্ত্রীরমধ্যে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার পার্লামেন্টে মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার প্রস্তাব জমা পড়ে। তারপরেই মন্ত্রীরা একযোগে ইস্তফা দেন।
কুয়েতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টুইট করে এই গণপদত্যাগ খবর জানানো হয়েছে।
সরকারি সংবাদসংস্থা কুয়েত নিউজ এজেন্সি-কুনা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামাদ জাবের আল-সাবাহ। তিনিই সব মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যান এবং প্রধানমন্ত্রীকে দেন।
কুয়েতের পার্লামেন্টের নাম ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। কুনা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা নিয়ে যে প্রস্তাব জমা পড়েছে, ৩০ জন সদস্য তা সমর্থন করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, তার মধ্যে ভোটের ফলাফলের প্রতিফলন নেই বলে দাবি পার্লামেন্ট সদস্যদের। স্পিকার এবং বিভিন্ন কমিটির গঠন নিয়েও সরকার হস্তক্ষেপ করছে।
সংবাদসংস্থা এপিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ আল-ইউসেফ জানান, পার্লামেন্ট সদস্যরা সরকার ব্যবস্থার সংস্কার চাইছেন। কারণ, সরকার পুরনো কিছু মুখকেই বারবার দায়িত্ব দিচ্ছে। এই ব্যবস্থায় এই ধরনের ডেডলক হবেই।
মধ্যপ্রাচ্যে কুয়েতই প্রথম দেশ যারা ১৯৬৩ সালে পার্লামেন্ট গঠন করে। গত ডিসেম্বরে পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়েছে। তবে পার্লামেন্ট গঠিত হলেও আসল ক্ষমতা আল-সাবাহ পরিবার ও আমিরের হাতেই আছে। তারাই সরকার নিয়োগ করেন।
-এটি