মোস্তফা ওয়াদুদ: সম্প্রীতি একটি অপ্রীতিকর বিষয় নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় দেশের জনপ্রিয় বক্তা মাওলানা মামুনুল হক ও জননন্দিত ওয়ায়েজ মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর মাঝে।
আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর শায়েখ জাকারিয়া রিসার্চ সেন্টারে এ ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়। মাদরাসাটির পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদের মাধ্যমে তাদের এ ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয় জানিয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। মাওলানা মামুনুল হক তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদরাসার পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ আজহারী,
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী। মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ‘সেই অপ্রীতিকর’ বিষয়টির উদ্ভাবন করেছিলেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘কিশোরগঞ্জ এলাকার কোন এক মজলিসে মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী শায়খুল হাদিস মাওলানা মামুনুল হক এর ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।’ এরপরই উভয়ের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ভক্তবৃন্দ একে অপরকে উস্কানিমূলক কথা বলছিল। যাতে একের প্রতি অন্যের বিরূপ আচরণ ফুটে উঠেছে। অবশেষে মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ এর মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হলো আজ।
এসময় মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘আমার মাঝে ও মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর মাঝে যে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল তার সমাধান হয়ে গিয়েছে। আমরা একজন অন্যজনকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এরপর আপনারা (ভক্তবৃন্দ) এই বিষয় নিয়ে আর কোন বাড়াবাড়ি করবেন না। ফেসবুকে একজনের প্রতি অন্যজন তীর্যক মন্তব্য ছুড়ে মারবেন না।’
সমাপনী বক্তব্যে মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার অনেক বড় মেহেরবানী তিনি আমার মাধ্যমে একটি অনেক বড় বিষয় সুরাহা করেছেন। এজন্য আমি আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর ভক্তবৃন্দ যারা আছেন, আপনারা যেভাবে ওলামায়ে কেরামের ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্য করেছেন, এজন্য আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন। একই আহ্বান তিনি মাওলানা মামুনুল হকের ভক্তবৃন্দের কাছেও করেছেন।
এমডব্লিউ/