বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ময়মনসিংহে সাহিত্য সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল-আমিন(বাপ্পি)
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি>

ময়মনসিংহে সাহিত্য ও সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ কোর্স এবং সাহিত্য আলোচনা অনুষ্ঠান,অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (২২অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায়,ময়মনসিংহের মাদানী নগর মধ্য বাড়েরায় অবস্থিত জামিয়া শায়খ আব্দুল মোমিন রহ.মিলনায়তনে দেশের শীর্ষ কয়েকজন সাহিত্যিক লেখক এবং গবেষকদের নিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

খানকায়ে হুসাইনিয়া মাদানিয়ার মুতাওয়াল্লি ও জামিয়া শায়খ আব্দুল মোমিন রহ.এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মাহবুবুল্লার সভাপতিত্বে এবং সহকারী পরিচালক ও সীরাত সাহিত্য চর্চা কেন্দ্রের পরিচালক মুফতি আমীর ইবনে আহমাদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের ইসলাম বিভাগের প্রধান মুফতি এনায়েতুল্লাহ্, ঢাকা টাইমসের নিউজ এডিটর ও বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর,আওয়ার ইসলাম টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব, এবং বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ্ রহমানী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সাহিত্য ও সাংবাদিকতার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন,সাহিত্যিক হতে চাইলে আগে প্রকৃতিকে বুঝতে হবে দুনিয়ার অপার সৌন্দর্যে অনুধাবন করতে হবে,এরপর নিজেকে পড়তে হবে এবং বিদগ্ধ লেখকগণের আত্মজীবনী গুলো পড়তে হবে।প্রতিদিন রোজনামচা লিখতে হবে,এতে করে নিজেই নিজের লেখালেখি এবং সাহিত্যের প্রতিভাকে খুজে বের করা যাবে।

বক্তারা আরো বলেন,আমরা আমাদের কথা বলার সময় অবশ্যই ভাষার দিকে খেয়াল রাখা চাই,এবং কোন বই পড়ার সময়,সাহিত্যপূর্ণ শব্দগুলোকে যতক্ষণ পর্যন্ত আত্মস্থ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই শব্দটিকে নিয়ে খেলতে হবে,এতে করে ভাষা এবং সাহিত্যিকতা দুটুই আয়ত্ত করা যাবে।

কোন বিষয়ে যদি দশমিনিট আলোচনা করতে হয় তাহলে কম্পক্ষে একশমিনিট আলোচনা শুনতে হবে,এতে করে নিজের ভিতর কথা বলার একটা যোগ্যতা সৃষ্টি হবে।

সবচেয়ে বড় বিষয় যেটি সেটি হচ্ছে শব্দ চয়ন এবং বাক্যের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা এবং সহজ ও সরল শব্দ যুক্ত করা, এতে করে লেখা এবং কথা বলার ক্ষেত্রে বড় বড় ভুলত্রুটি থেকে বেঁচে থাকা যাবে।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জামিয়ার আসাতিযায়ে কেরামগণ সহ,আরবী সাহিত্যিক মাহমুদুল হক সিদ্দিক,ঔপন্যাসিক ফজলুল হক,আবৃতি শিল্পী কবি ওয়ালিউল ইসলাম। পরে মাগরিবের নামাজের পূর্বমুহূর্তে জামিয়ার পরিচালক মুফতি মাহবুবুল্লার দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে,জামিয়ার প্রাঙ্গণে, বাগান বিলাস,দেশীয় লেবু ও পেয়ারা গাছের কয়েকটি চারা রোপণ করেন অতিথিরা। এসময় অতিথিরা উপস্থিত ছাত্রদেরকে যেখানেই ভ্রমণ করবে সেখানেই কয়েকটি গাছ রোপণ করতে আহবান করেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর