বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ধর্ষিতা ও ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তের কারাফটকে বিয়ের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি কয়েদির জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন স্বয়ং ধর্ষণের শিকার নারী। জামিনের আবেদনে বলা হয়েছে, জামিনে মুক্তি পেলে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।

তবে হাইকোর্ট ওই আসামিকে জামিন দেননি। আদালত আসামি ও ভিকটিমের মধ্যে কারা ফটকেই বিয়ের আয়োজন করতে রাজশাহী কারাগারের তত্ত্বাবধায়কের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিয়ের পর ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। আদালত উভয়পক্ষের সম্মতিতে এ আদেশ দেন।

ভিকটিমের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন দাখিল করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহেদ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আইনজীবীরা জানান, রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার দিলীপ খালকোর সঙ্গে তার খালাতো বোনের (ভিকটিম) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই সূত্র ধরে, ভিকটিমকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়েন দিলীপ। এতে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়েন।

কিন্তু এর পরই দিলীপ খালকো ভিকটিমকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। সালিশের উদ্যোগ নিলেও এতে সময়ক্ষেপণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আর সালিশ হয়নি। ভিকটিম ওই বছরের ২৩ অক্টোবর স্থানীয় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে গর্ভধারণের ব্যাপারে নিশ্চিত হন। ২৫ অক্টোবর গোদাগাড়ি থানায় দিলীপ খালকোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ভিকটিম।

এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচার শেষে ওই বছরের ১২ জুন এক রায়ে দিলীপ খালকোকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ে বলা হয়, যখন ভিকটিম ধর্ষণের শিকার হন তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। ২০১২ সালের রায়ের পর থেকে দিলীপ কারাবন্দি। এই অবস্থায় দিলীপের জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন স্বয়ং ধর্ষিতা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর