বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বেকার বলে বকা দেয়ায় ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে সবাইকে হত্যা করলো ছোট ভাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পারিবারিক দ্বন্দ্বের প্রতিশোধ নিতেই এনার্জি ড্রিংক স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বড় ভাই, ভাবি, ভাইপো ও ভাইজিকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম। তবে শিশু মারিয়া কাউকে চিনবে না বলে তাকে হত্যা করেনি সে।

আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকালে, সাতক্ষীরা সিআইডি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, বেকার থাকা ছোট ভাই বাড়িতে বসে বসে খাওয়া দাওয়া করায় বড় ভাবি তাকে বকাবকি করে। মন খারাপ অবস্থায় ঘরে বসে রাতে টিভি দেখার সময় অকারণে বিদ্যুৎ বিল উঠছে বলে বড় ভাই শাহিনুরও তাকে বকা দেয়। তখন সে তাদের হত্যার পরিকল্পনা করে। এরপর স্পিডের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে রাতে সবাইকে খাওয়ায়।

সবাই ঘুমিয়ে পড়লে গভীর রাতে ঘরে থাকা চাপাতি নিয়ে তোয়ালে পরে গাছ বেয়ে ছাদের ওপর দিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে প্রথমে বড় ভাই শাহিনুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। তার হাতের শিরা কেটে দেয়। এরপর ভাবি ছাবিনাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় শব্দে ভাইপো জিহান ও ভাতিজি তাছনিম জেগে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে হত্যা করে সে।

পরে সে বাড়ির পাশের পুকুরে চাপাতি ফেলে দিয়ে গোসল করে ঘুমাতে যায়। রায়হানুলের স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে বুধবার হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি জব্দ করা হয়েছে। রায়হানুলের ঘর থেকে তোয়ালেও জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার বিকালে রায়হানুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত ডিআইজি। প্রেস ব্রিফিংএ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর ভোর রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়ার খলশি গ্রামে মাছ ব্যবসায়ী শাহিনুরসহ পরিবারের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। রাতে শাহিনুলের শ্বাশুড়ি ময়না খাতুন বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সিআইডি পুলিশকে। হত্যার দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় নিহতের ছোট ভাই রায়হানুলকে।

পরের দিন রায়হানুলকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে রায়হানুলকে পুলিশের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আরো ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর